রাজ্যের ৭ বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত নির্বাচনের দাবি করে ফের নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল। শুক্রবার কমিশনের কাছে সময় চাওয়া হয়েছে বলে খবর। সাক্ষাতের সম্মতি মিললেই যাবেন পাঁচজন সাংসদ। এর আগেও জাতীয় ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। শুক্রবার ফের জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে শাসকদল।
প্রসঙ্গত, আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে কোনও একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিততেই হবে মমতা ব্যানার্জিকে। আর তার জন্যই তড়িঘড়ি ভোট চাইছে তৃণমূল। গত ২৩ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও রাজ্যে ভোটের পরিস্থিতি রয়েছে বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করুক কমিশন।’
যদিও এখন ভোট চাইছে না বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে ভোটের পরিস্থিতি নেই। ৮ কারণ দেখিয়ে সেই চিঠি লেখা হয়েছে। আগে পুরভোট চায় গেরুয়া শিবির। এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে তৃণমূল যেতেই পারে। আমরাও তো পুর নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলছি।’
নদিয়ার শান্তিপুর, কোচবিহারের দিনহাটা, দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় উপনির্বাচন হবে। পাশাপাশি নির্বাচনের আগে প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় ভোট হয়নি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। এই নিয়ে মোট ৭টি আসনে ভোট রয়েছে।
আরো পড়ুন : ভুয়ো IPS পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগ, গোয়েন্দাদের হাতে ধৃত এক
ভোটের দাবিতে এর আগে ১৫ জুলাই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। এরপর ৬ অগাস্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। কিন্তু এখনও কোনও দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি। তবে এই ৭ কেন্দ্রের ভোট নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চলছে তৃণমূল-বিজেপির।
সূত্র: আজকাল