১০ কোটির প্রতারণা! প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদের ৬টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ
৩৪ বছর ধরে ছিলেন বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান। ৫ বছরের জন্য রাজ্যের মন্ত্রীও হয়েছিলেন। বিধায়ক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এহেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কেই প্রতারণা ও আর্থিক তচ্ছরুপের দায়ের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখন তিনি আদালতের নির্দেশে পুলিশের হেফাজতেই আছেন। আর সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ তাঁর যে বিশাল সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে তা দেখে এখন তাবড় তাবড় পুলিশ আধিকারিকদেরই চোখ কপালে ওঠার জোগাড়।
শ্যামাপ্রসাদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৬টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আগেই ক্লোজড করেছিল প্যলিশ। এখন সেই সব অ্যাকাউন্টের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য দেখে পুলিশ শ্যামার পরিবারের নামে বিশাল সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই সব সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে একাধিক বাড়ি, গাড়ি, পেট্রোল পাম্প, জমিজমা ও হোটেল। পুলিশের ধারনা এই বিশাল পরিমাণ সম্পত্তির সঙ্গে শ্যামার আরও কিছু অবৈধ কারবার জড়িয়ে রয়েছে। সেই সঙ্গে সারদা কাণ্ডেরও যোগ থাকতে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন।
আরো পড়ুন : দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা
তদন্তে পুলিশ এটাও জানতে পেরেছে চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শ্যামা যখন তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সেই সময় থেকেই টানা ২-৩ মাস ধরে শ্যামার নামে থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিক হিসাব বহির্ভূত আর্থিক লেনদেন হয়েছে। একই সঙ্গে এই ঘটনায় আরও অনেকেরই যুক্ত থাকার সন্ধান মিলেছে।
যদিও তদন্তের স্বার্থে এখনই সেই সব নাম প্রকাশ্যে আনতে রাজি নয় পুলিশ। কেননা এদের অনেকেই বিজেপির নেতা, কর্মী, জনপ্রতিনিধি। পুলিশ শ্যামাকে ১০ কোটি টাকা দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করলেও এখন তাঁদের ধারনা শ্যামা খুব নয় নয় করেও ৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক।
পুলিশের আরও ধারনা বিষ্ণুপুর পুরসভার কিছু আধিকারিকও এই ঘটনায় জড়িয়ে আছেন। মানে শ্যামা একা খাননি, আরও অনেককেই খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। সেই কারনেই দীর্ঘদিন ধরে তাঁর আমলে হওয়া দুর্নীতি সামনে আসেনি। এখন পুলিশ অবশ্য এইসব ছেঁকে বার করছে।
সূত্র: এই মুহুর্তে