খাবারের লোভ দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে কুকুরকে ‘ধর্ষণ’, বেহালায় গ্রেফতার প্রৌঢ়
হাতের সামনে এত মানুষ থাকতে শেষে কিনা রাস্তার কুকুর! হায় রে, মানসিকতা আজ কোথায় নেমে এসে দাঁড়িয়েছে। কুকুরকে ধর্ষণ করে হাজতে যাচ্ছে ৫০ উর্ধ্ব প্রৌঢ়! একি শুধুই বিকৃত মানসিকতা নাকি কোনও ওষুধের ফল, সেটা জানতেই এখন হামলে পড়েছে বেহালাবাসী। কেননা সেখানেই ঘটেছে যে এমন ঘটনা। তাও এক আধদিন নয়।
দিনের পর দিন ধরে কুকুরকে ধর্ষণ করে শেষে হাতেনাতে ধরা পড়ে হাজতে গিয়েছে বেহালার রায় বাহাদুর রোডের বাসিন্দা রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়। প্রমাণ-সহ অভিযোগ পেয়েই এদিন তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, খাবার লোভ দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে রাস্তার কুকুরদের অন্তত কয়েক মাস ধরে ধর্ষণ করে চলেছেন ওই বিকৃতমনা প্রৌঢ়।
জানা গিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ওই এলাকার বাসিন্দারা লক্ষ্য করেছিলেন, রাত ৮-৯টা থেকেই পাড়ার কুকুর সব বেপাত্তা হয়ে যাচ্ছিল। খাবার দিয়ে হাজার ডাকাডাকি করেও তাদের দেখা মিলতো না। এমনকি তারা ডাকাডাকিও করতো না। সকালবেলার দিকে কুকুরগুলিকে দেখা গেলেও সবাই কেমন যেন একটা ঝিমিয়ে থাকতো। ভাল করে খেতে চাইতোও না। পাড়ার ছেলেদের তা নিয়েই সন্দেহ হয়। তাঁরা নিজেরাই এর জেরে গোপনে কুকুরগুলির ওপর নজর রাখা শুরু করে।
গত কয়েকদিন ধরেই তাঁরা তক্কে তক্কে ছিল, এমনকি রাত জেগে নজর রাখাও শুরু করেছিল। চলতি সপ্তাহের প্রথমদিকে তাঁরা লক্ষ্য করেন, রাতের বেলা খাবার লোভ দেখিয়ে কুকুরগুলিকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যাচ্ছেন পাড়ারই বাসিন্দা রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়। অনেক রাতে ফের রাস্তায় ফিরিয়ে দিয়েও যাচ্ছেন তাদের। এর পর বৃহস্পতিবার রাতে রঞ্জিতবাবুর বাড়িতে লুকিয়ে চুরিয়ে হানা দেয় পাড়ার সেই ছেলেরা। আর জানলা দিয়ে ঘরের ভিতরে উঁকি মারতেই কার্যত শক খায় তাঁরা।
আরো পড়ুন : কৃষ্ণনগরে বিজেপি কর্মী পলাশ মণ্ডল খুনের তদন্ত শুরু করল সিবিআই
দেখে, খাবার লোভ দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে এনে কুকুরদের ধর্ষণ করছেন রঞ্জিতবাবু। কুকুরগুলির মুখ বাঁধা থাকায় চিত্কারও করতে পারছিল না, পা বেঁধে রাখায় পালিয়ে যেতেও পারছিল না। সব থেকে বড় কথা কুকুরগুলি ঝিমিয়ে ছিল রীতিমত। সেই ঘটনা ওই ছেলেরা ভিডিও করে রাতেই একটি বেসরকারি সংস্থার কাছে পাঠায় তাঁরা যারা রাস্তার কুকুরদের দেখভাল নিয়ে কাজ করে। এরপরে এদিন সকালেই সেই সংস্থা বেহালা থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযোগ দায়ের করে।
এরপরই রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান ওই প্রৌঢ় খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ বা কোনও মাদক মিশিয়ে দিতেন যার জেরে কুকুরগুলি সারাদিন ঝিমিয়ে থাকতো আর ওই খাবারের বাইরে অন্য কিছু খেতে চাইতো না। এমনকি যৌন অত্যাচারের সময়ও কোনও প্রতিবাদ করতে পারতো না।
সূত্র : এই মুহুর্তে