করোনায় মৃত্যু হয়নি শুভ্রজিতের, ক্ষতিপূরণ চাই না বিচার চাই, রিপোর্ট পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা-বাবা
গত বছর জুলাই মাসে শহরে চিকিত্সার গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছিল ইছাপুরের বাসিন্দা দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র শুভ্রজিত্ চট্টোপাধ্যায়ের। এর মাঝে অতিক্রান্ত হয়ে গেছে এক বছর। আজ মঙ্গলবার শুভ্রজিত্ চট্টোপাধ্যায়ের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেল তাঁর বাবা-মা। কিন্তু রিপোর্ট পেতে এত দেরি হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন শুভ্রজিতের বাবা বিশ্বজিত্ ও মা শ্রাবণী চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের দাবি, ক্ষতিপূরণ চাই না, বিচার চাই।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১০ জুলাই শারীরিক অসুস্থতার জন্য কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শুভ্রজিতকে। কিন্তু পরিকাঠামোর দোহাই দেখিয়ে তাঁরা ভর্তি না নিলে বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে কোভিড পজিটিভ আসে।
আরো পড়ুন : ফের বিজেপির বিধায়ক শিবিরে ভাঙন, তৃণমূলে ফিরলেন বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস
সেখান থেকে তাঁরা সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে শুভ্রজিতকে। কিন্তু সাগর দত্ত ভর্তি নিতে চাইনি। শেষমেশ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজও ভর্তি নিতে নাকচ করলে শুভ্রজিতের মা আত্মহত্যা করার হুমকি দিলে তাঁরা ভর্তি নেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় শুভ্রজিতকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এর পরেই বেলঘড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শুভ্রজিতের বাবা-মা।
এরপর বেলঘড়িয়া থানা থেকে অভিযোগ তুলে তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট প্রায় এক বছর আগে শুভ্রজিতের আরটিপিসিআর টেস্ট ও ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়। আজ সেই আরটিপিসিআর রিপোর্ট হাতে পেয়েছে পরিবার। সেখানেই দেখা গেছে কোভিডে আক্রান্ত ছিলেন না শুভ্রজিত্। তাহলে সেই সময় কীভাবে শুভ্রজিত্কে কোভিড পজিটিভ বলা হয়েছিল এই প্রশ্ন তুলছে পরিবার। তাঁদের দাবি, স্বাস্থ্য পরিষেবা একেবারেই ঠিক নেই তাই তাঁদের ছেলেকে অকালে চলে যেতে হয়েছে।
সূত্র: প্রথম কলকাতা