দুপুর ৩ টের মধ্যে অবস্থান বিক্ষোভ তুলতে হবে, অচলাবস্থা কাটাতে কড়া নির্দেশ আদালতের
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) অচলাবস্থা নিয়ে কড়া অবস্থান নিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হল, কোনও বিক্ষোভ করা যাবে না। ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক ছন্দ ফেরাতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই মামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবার একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কী কী নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট? বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনও রকম বিক্ষোভ করা যাবে না। ব্যানার এবং বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য যা যা আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র রয়েছে, তা সরিয়ে নিতে হবে। দুপুর তিনটের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করবে তিন পুলিশ কর্মী। তাঁরা মোতায়েন থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। যে উপাচার্যকে ঘিরে এত আন্দোলন, সেই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের ৫০ মিটারের মধ্যে কোনও মাইকিং করা যাবে না বলেও এদিন নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এখানেই শেষ নয়, বিশ্বভারতীর ভেতরে যে সমস্ত প্রশাসনিক ভবন ও উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝোলানো হয়েছে, তা অবিলম্বে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশকে ভেঙে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কোনও কর্মী-আধিকারিককে ঢুকতে বাধা দেওয়া যাবে না। প্রশাসনকে দেখতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চালাতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়।
আরো পড়ুন : কুপিয়ে খুন করা হল মালদার তৃণমূল নেতাকে, এলাকায় উত্তেজনা
বিশ্বভারতী এলাকায় সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরাকে কার্যকরী করে তুলতেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিশ্বভারতী রেজিস্ট্রার এবং শান্তিনিকেতন থানাকে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে এই নির্দেশ সম্পর্কে রিপোর্ট জমা করতেও বলেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি।
তিনজন ছাত্রকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের সামনে লাগাতার আন্দোলন চলছিল। ক্রমেই জোরদার হচ্ছিল আন্দোলন। এই সবের মধ্যেই উপাচার্যের বাসভবনে খাবার না পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে নতুন করে শোরগোল পড়ে। বুধবার ছাত্ররা দুধ কলা পৌঁছে দেয় উপাচার্যের বাসভবনের গেটে।
সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছিল। সেই পরিস্থিতিতে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই আদালতের রায়ে বেশ কিছুটা স্বস্তিতে কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে, হাইকোর্ট এমনও নির্দেশ দিয়েছে, আগে অচলাবস্থা কাটুক, তারপর আবেদনকারীদের বক্তব্য শোনা হবে।
সূত্র: নিউজ ১৮