সংগীত

গানটি গাওয়ার জন্য এক লাখের ওপর মেসেজে অনুরোধ পেয়েছি : হিরো আলম

Hero Alom : গানটি গাওয়ার জন্য এক লাখের ওপর মেসেজে অনুরোধ পেয়েছি : হিরো আলম - West Bengal News 24

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘মানিকে মাগে হিথে’ গানটি। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম কিংবা ইউটিউবে আজকাল স্ক্রল করলেই নজরে পড়ছে অচেনা ভাষার একটি গান। একটি শব্দের অর্থও জানা নেই। তবুও গানের সুরে বুঁদ হয়ে আছেন সবাই। গানের কথা নয়, শুধু সুরই যে সংগীতপ্রেমীদের মোহাচ্ছন্ন করে ফেলে, তার প্রমাণ আবারও পাওয়া গেল। আর তাই ভাষা না বুঝে, মানে না জেনেও শেয়ার হচ্ছে ঝড়ের গতিতে।

কয়েক দিন ধরে নেটদুনিয়ায় ভাইরাল গানটি ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আগ্রহের কমতি নেই। নেট দুনিয়ায় চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে, মিষ্টি চেহারার এক তরুণী মাইক্রোফোনের সামনে গান গাইছেন। গভীর চাহনি আর প্রাণ উজাড় করা হাসিতে কোটি কোটি মানুষকে মুগ্ধ করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে সিংহলি ভাষার এই গানের তামিল, মালয় ও বাংলা সংস্করণ বের হয়েছে। এবার ভাইরাল হওয়া গানটি গেয়েছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।

আরও পড়ুন : অভিনেত্রী মুনমুন সেনের বাড়িতে হামলা

শ্রীলঙ্কার নানা সময় জনপ্রিয় গানটি গাওয়ার চেষ্টা করেছেন ভারতের অনেকেই। বলা যায় রীতিমতো ভারতীয়দের মধ্যে এই গানটি কাভার করার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। কে কার চেয়ে ভালো গাইতে পারে এই চেষ্টাই চলতে থাকে। পশ্চিমবঙ্গের অনেকেই গানটি গেয়েছেন। শুধু তাই নয়, বাংলা ভাষায় নিজেদের মতো করে অর্থও জুড়ে দিয়েছেন। কিন্তু হিরো আলম যা গাইলেন তা শুনে চক্ষু ও কর্ণের অবস্থার যে হাল হলো তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না, অন্তত নেটিজেনদের ভাষ্য।

শ্রুতিমধুর এই গানটিকে সবচেয়ে শ্রুতিকটূ করেছেন হিরো আলম। অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন এই গানে। হিরো আলমকে কেন এই গান গাইতে হবে? এমন প্রশ্ন অনেকেরই।

এ বিষয়ে হিরো আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। রবিবার সকালে তিনি বলেন, ‘মানুষ নানা কথা বলবেই এবং আমার এসব কথা হজম করার ক্ষমতা আছে। না হলে এত দিন যত কথা শুনেছি তাতে আমি হিরো আলম হারিয়ে যেতাম। মানুষের কথা গায়ে লাগালে অসুস্থ হয়ে যেতাম। কে কী বলছে বলুক, আমি আমার মতো করে গেয়েছি, এতে সবার ভালো লাগবে এমন কোনো কথা নেই।’

আরও পড়ুন : রানু মণ্ডলকে নিয়ে এবার বলিউডে সিনেমা

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) নিজের ইউটিউব চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করেছেন ‘মানিকে মাগে হিথে।’ হিরো আলম বলেন, এই গান যে আমার নিজের ভালো লাগায় গেয়েছি তা নয়। অন্তত এক লাখের ওপর মানুষ আমাকে অনুরোধ করেছেন গানটা যেন গাই। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের অনেকে রয়েছেন। রয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের বাঙালি ভাইয়েরা, এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশি ভাইয়েরা। দেশের অনেক দর্শক-শ্রোতা অনুরোধ তো করেছেনই। আপনারা তো জানেন আমার ১১ লাখের পেইজ রয়েছে, সেখানেই প্রতিদিন হাজার হাজার মেসেজ আসত। যার কারণে গানটা না বুঝলেও কষ্ট করে গেয়েছি।’

এই গানে প্রচুর নেতিবাচক মন্তব্য এসেছে। হিরো আলম কেন গাইলেন, সেটা নিয়ে তাকে তুলাধোনা করছেন অনেকেই।

আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বগুড়ার একজন কেবল ব্যবসায়ী। নিজের বানানো মিউজিক ভিডিওর মডেল হয়ে আলোচনায় এসেছিলেন হিরো আলম। এরপর তিনি কাজ করেছেন চলচ্চিত্রেও। একাদশ সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। নানা কারণে তিনি আলোচনায় রয়েই যাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি গায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে একের পর এক গান গেয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা হলেও তিনি থেমে নেই।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য