পণের টাকা দিতে না পারার শাস্তি? স্ত্রীকে ‘খুন’ করে পলাতক স্বামী
বিয়ের সময় যৌতুক হিসেব মোটরবাইক, সোনার গয়না ও নগদ টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও মন ভরেনি শ্বশুরবাড়ির লোকজনের। পণের টাকা বকেয়া রয়েছে, এই ‘অপরাধে’ বিয়ের তিন-চার মাস পর থেকেই গৃহবধূর ওপর শুরু হয় অত্যাচার। এর মধ্যেই শ্বশুরবাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক স্বামী। প্রতিবেশীর অভিযোগ, স্ত্রীকে খুন করে গা ঢাকা দিয়েছে সে।
ঘটনা বারুইপুরের চম্পাহাটির। বছর চারেক আগে মগরাহাটের সরফা খাতুনকে বিয়ে করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা, পেশায় ফল ব্যবসায়ী সরিফুল সরদার। দম্পতির একটি তিন বছরের পুত্রসন্তানও রয়েছে। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, টাকার দাবিতে প্রায়ই সরফাকে মারধর করত স্বামী। সরিফুলের দাবি ছিল, যৌতুক হিসাবে তার চাহিদা পূরণ করেনি সরফার মা-বাবা।
আরও পড়ুন : নিজের বাড়ি থেকে মায়ের গয়না চুরি করে পার্টি, ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিল বাবা
আর সে কারণেই চলত মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার। এরই মাঝে গতমাসে ‘বকেয়া পণ’ মতো নতুন করে ২৫ হাজার টাকা দাবি করে সরিফুল। জামাইয়ের দাবি পূরণ করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে সরফার পরিবার। জানা গিয়েছে, ১৫ হাজার টাকা তুলেও দেওয়া হয়েছিল জামাইয়ের হাতে। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট হয় না সরিফুল। আরও ১০ হাজার টাকাও অবিলম্বে দাবি করে সে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, কয়েকদিন আগে ভিডিয়ো কলে কথা হয়েছিল মেয়ের সঙ্গে। সেইসময় সরফার শরীর এতটাই খারাপ ছিল যে কথা পর্যন্ত বলতে পারছিলেন না। এরপর এদিন মেয়ের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে মৃতের বাপের বাড়ির লোকজন মগরাহাট থেকে বারুইপুরে ছুটে আসে।
আরও পড়ুন : চরম বরর্বতার নজির! ৭টি কুকুর ছানার গায়ে আগুন দিলেন মহিলা
পলাতক স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের খোঁজ শুরু হয়েছে। শুধু কি টাকার লোভে, নাকি স্ত্রীকে খুনের নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতদেহ আপাতত ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সূত্র: এই মুহুর্তে