জনসভায় সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশে এফআইআর দায়ের হল ওয়েইসির বিরুদ্ধে
বরাবাঁকিতে ‘উসকানি দেওয়া মন্তব্যে’ (provocative remarks) অভিযুক্ত হলেন আসাদুদ্দিন ওয়েইসি (asaduddin owaisi)। এআইএমআইএম (aimim) প্রধানের বিরুদ্ধে জনসভায় ‘১০০ বছরের পুরানো মসজিদ শহিদ’ হল বলে মন্তব্যের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টার অভিযোগে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ মামলা করেছে। বরাবাঁকির জেলা প্রশাসনের রামসানেহি ঘাটে একটি মসজিদ ( barabanki mosque) ভেঙে দেওয়া প্রসঙ্গে ওই মন্তব্য করেন তিনি।
মসজিদ ভাঙাকে ‘রাজনৈতিক’ আখ্যা দিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিয়মনীতি না মানার অভিযোগ করেন ওয়েইসি। এর নিন্দা না করার অভিযোগে বিরোধী দলগুলিকেও নিশানা করেন তিনি। জেলা প্রশাসন অবশ্য ভাঙার কাজ চালানোর সময় মসজিদের কোনও উল্লেখ করেনি, শুধু বলেছে, সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের বাসভবনের উল্টোদিকে একটি ‘বেআইনি আবাসিক কমপ্লেক্স’ ভেঙেছে তারা।
আরও পড়ুন : এক ডোজে মৃত্যু আটকায় ৯৬.৬ শতাংশ, দুই ডোজে ৯৭.৫! বলছেন আইসিএমআর কর্তা
জেলা শাসক আদর্শ সিং বলেছিলেন, মসজিদের মালিকানার দাবিদারদের ১৫ মার্চ নোটিস দিয়ে মালিকানার ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারপরই ওই চত্বরের বাসিন্দারা পালিয়ে যান। ওয়েইসি ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ এ, ১৮৮, ১৭০ ধারায় অভিযুক্ত হয়েছেন। ধর্মীয় ভিত্তিতে নানা গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা ছড়ানো, সরকারি অফিসারের জারি করা আদেশ অমান্য করা, সরকারি কর্তাকে আক্রমণ করার মতো অভিযোগ তোলা হয়েছে।
পাশাপাশি করোনাবিধি ভেঙে মহামারী আইনের ধারা লঙ্ঘনেও অভিযুক্ত হন তিনি। সভা-সমাবেশের জন্য বেঁধে দেওয়া শর্তও ভেঙেছেন তিনি, অভিযোগ। মসজিদ ভেঙে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে সরব উত্তরপ্রদেশ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডও। তবে জেলা প্রশাসনের কর্তার দাবি, মসজিদ নিয়ে ওয়েইসির মন্তব্য তথ্যগত ভাবেও ঠিক নয়। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সম্পর্কেও অশালীন, ভিত্তিহীন কথা বলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন : বিজেপির ‘মিশন উত্তরপ্রদেশে’ সেনাপতি মোদি, প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরেই রণকৌশল গেরুয়া শিবিরের
ওয়েইসি নাকি বলেছেন, ২০১৪য় মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটাকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, বিজেপি নেতারা তিন তালাকের জন্য মুসলিম মহিলাদের প্রতি অন্যায়, অবিচার নিয়ে সরব, কিন্তু হিন্দু মহিলারা যখন স্বধর্মের পুরুষ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হন. তখন চুপ করে থাকেন।
এ প্রসঙ্গেও তিনি কটাক্ষ করেন, আমার ভাবী ( মোদীর স্ত্রী) একা থাকেন গুজরাতে, কিন্তু তাঁর কথা বলার কেউ নেই! আদিত্যনাথকে যখন সরানোর কথা হচ্ছিল, তখন তিনি বরাবাঁকি মসজিদকে বলি দিলেন বলেও মন্তব্য করেন ওয়েইসি।
সূত্র: দ্য ওয়াল