আচমকাই দু’বছর আগে বেপাত্তা হয়ে যান সুকরানা বিবি। বর্ধমান শহর লাগোয়া হাঁটুদেওয়ান পীরতলা ক্যানেলপার এলাকার বাসিন্দা সুকরানা বিবি। তাঁর দুই ছেলে, বড় ছেলে কিসমত আলি আলাদা থাকেন। ছোট ছেলে শেখ নয়ন আলির সঙ্গে থাকতেন সুকরানা। কিন্তু আচমকাই দু’বছর আগে নিখোঁজ হয়ে যান সুকরানা বিবি।
এলাকাবাসীরা জিজ্ঞাসা করলে, ছোট ছেলে জানায় মা বেড়াতে গিয়েছে। এমনিতেই ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ছিলেন সুকরানা বিবি। কিন্তু এতদিন ধরে বাড়ি না ফেরায় সন্দেহ হয় সকলের। এর মাঝেই এতদিন বাদেই সত্য কথা বলেন নয়ন আলির স্ত্রী। তিনি জানান, তাঁর স্বামী খুন করেছে নিজের মাকে, আর দেহ ঘরের মেঝেতেই পুঁতে রেখেছে।
২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে আচমকাই বেপাত্তা হয়ে যান সুকরানা বিবি। নিখোঁজ ডায়েরি লেখেন বড় ছেলে কিসমত আলি। এতদিন ঘটনা জানলেও চুপ করে ছিলেন ছোট ছেলে শেখ নয়ন আলির স্ত্রী। কিন্তু কিছুদিন আগেই স্বামীর সঙ্গে অশান্তি হয়, তাই বাপের বাড়ি চলে যায়। বাড়ির অশান্তি মেটাতে আসরে নামে নয়নের দাদা।
আরও পড়ুন : রাজ্যের নতুন অ্যাডভোকেট জেনারেল হলেন সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
নিজের বৌদিকে ফেরাতে তাঁর বাপের বাড়ি যেতেই সত্যিটা সামনে আসে। নিজের স্বামীর কুকীর্তির কথা বড় দেওরকে জানান নয়নের স্ত্রী। নয়নের স্ত্রী জানান, মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে মা-কে খুন করেছেন। দেহ পুঁতে রেখেছেন ঘরের মেঝেতে! এমনকী, তাঁকে খুন করেও মাটি পুঁতে রাখার হুমকি দিয়েছে স্বামী। তাই বাপের বাড়ি চলে এসেছেন ভয়েতে। আর সবটা জানতে পেরেই দেরী না করে সোজা থানায় গিয়ে পুলিশকে সবটা জানান বড় ছেলে কিসমত।
অভিযুক্ত শেখ নয়ন আলিকে গ্রেফতার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। অভিযোগের সতত্য যাচাই করার জন্য ঘরের মেঝে খোঁড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু কীভাবে এতদিন সবটা জেনেও চুপ করেছিলেন নয়নের স্ত্রী খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ঠিক কী কারণে মাকে খুন করেছেন নয়ন? জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
সূত্র: এই মুহুর্তে