বাংলাদেশের হিন্দুদের রক্ষা করতে সংশোধন করা হোক CAA, দাবি কংগ্রেস নেতার
বাংলাদেশের (bangladesh) সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে (সিএএ) (caa) বদল ঘটিয়ে সেদেশের বিপন্ন হিন্দুদের (hindus) ভারতে সুরক্ষা (protection) দেওয়ার দাবি করলেন কংগ্রেস নেতা (congress) তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মিলিন্দ দেওরা। দুর্গাপূজার মধ্যে পড়শী দেশে মন্দিরে মন্দিরে হামলা, বিগ্রহ ভেঙে দেওয়া, হিন্দুদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার ভয়াবহ ঘটনাবলীর জেরে ভারতেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়েছে।
দেওরা পরিস্থিতি ‘উদ্বেগজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানে ধর্মীয় নিপীড়ন এড়াতে প্রাণভয়ে চলে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি, খ্রিস্টানদের ভারতের নাগরিকত্ব দিতে সিএএ-র কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, মুসলিমদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
জেনেবুঝে বিজেপি সরকার ধর্মীয় বিভাজন করছে। পাশাপাশি সিএএ-তে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিবেশী তিনটি দেশ থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে যাঁরা পালিয়ে ভারতে এসেছেন, একমাত্র তাঁরাই নাগরিকত্ব পাবেন। অর্থাত্ ২০১৪র পর কেউ এলে তিনি নাগরিকত্ব পাবেন না।
Bangladesh’s escalating communal violence is extremely worrying.
CAA must be amended to protect & rehabilitate Bangladeshi Hindus fleeing religious persecution.
India must also reject & thwart any communal attempt to equate Indian Muslims with Bangladeshi Islamists.
— Milind Deora | मिलिंद देवरा ☮️ (@milinddeora) October 18, 2021
আরও পড়ুন : পাথর বের করতে গিয়ে গোটা কিডনিই কেটে নিলেন চিকিত্সক, তারপর যা হল
মহারাষ্ট্রের শীর্ষ কংগ্রেস নেতাটি সেজন্য বাংলাদেশের চলতি হিংসার বলি হিন্দুদের সুরক্ষা দিতে সিএএ-তে ফের সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন। তিনি ট্যুইট করেছেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সাম্প্রদায়িক হিংসা চরম উদ্বেগের বিষয়। ধর্মীয় নির্যাতন থেকে বাঁচতে পালিয়ে এলে হিন্দুদের সুরক্ষা, পুনর্বাসনের জন্য সিএএ অবশ্যই সংশোধন করা উচিত। পাশাপাশি ভারতীয় মুসলিমদের বাংলাদেশি ইসলামপন্থীদের সঙ্গে একাসনে বসানোর যে কোনও সাম্প্রদায়িক প্রয়াসও খারিজ করা উচিত ভারতের।
কুমিল্লায় দুর্গামণ্ডপে কোরান অবমাননা, ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগকে অজুহাত হিসাবে খাড়া করেই হিংসা ছড়ানো হয়েছে বাংলাদেশের জেলায় জেলায়। তবে ভারত সরকারও হাত গুটিয়ে বসে নেই। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম ডোরাইস্বামী, সেদেশে ভারতের চারটি কনস্যুলেট কর্তারা প্রতিনিয়ত হাসিনা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এর মধ্যে হাসিনাও কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা কমতে কমতে প্রায় ১৭ কোটির ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি সংখ্যালঘু সংগঠনগুলির।
সুত্র : দ্য ওয়াল