স্বাস্থ্য

‘হাতের মুঠোয় ক্যান্সার চিকিৎসা’-য় পথ দেখাচ্ছে টাটা, আশ্রয়ের পথ দেখাচ্ছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা

দীপন চ্যাটার্জী

‘হাতের মুঠোয় ক্যান্সার চিকিৎসা’-য় পথ দেখাচ্ছে টাটা, আশ্রয়ের পথ দেখাচ্ছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা - West Bengal News 24

‘ক্যান্সার ‘ শব্দটি বর্তমানে আমাদের কাছে খুবই পরিচিত একটি শব্দ। কিছু বছর আগেও আমাদের কাছে এতটা প্রচলিত ছিল না এই শব্দটি। কিন্তু বর্তমানে এটি আমাদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত একটি শব্দ।গবেষণায় দেখা গিয়েছে 2025 সালের মধ্যে বার্ষিক ক্যান্সারের ক্ষেত্রে 12.8% বৃদ্ধির অনুমান করা হয়েছে, যা প্রায় 1.57 মিলিয়ন হবে।2023সালের গননা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে 2023 সালে ক্যান্সারের আনুমানিক 1.13 লক্ষ নতুন রিপোর্ট ছিল, যা এটিকে তালিকায় তৃতীয়-সর্বোচ্চ নম্বরের রাজ্যে পরিণত করেছে।

কিছু বছর আগেও আমাদের ধারনা ছিল ক্যান্সার মানেই মানুষ মারা যায় কিন্তু বর্তমানে সেই ধারণা পুরোপুরি বদলে দিয়েছে মহারাষ্ট্রের মুম্বাই শহরের টাটা মেমোরিয়াল হসপিটাল মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়ালের মালিকানা কিন্তু টাটাদের নয়। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে এক সময় এই প্রতিষ্ঠানটি টাটাদের অধীনে ছিল। তবে প্রায় পাঁচ দশক আগে টাটা কর্তৃপক্ষ হাসপাতালটিকে ভারত সরকারের হাতে তুলে দেয়। বর্তমানে হাসপাতালটি ভারত সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যাটোমিক এনার্জির তত্ত্বাবধানে রয়েছে।এখানকার আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি আজ বহু ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করে তুলছে। আজ বহু মানুষ ভারতবর্ষের বহু রাজ্য থেকে এই টাটা মেমোরিয়ালে চিকিৎসা করাতে আসেন। যেহেতু হসপিটালটি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে তাই এখানে নুন্যতম খরচে অতি উন্নত মানের চিকিৎসা পাওয়া যায়।

‘হাতের মুঠোয় ক্যান্সার চিকিৎসা’-য় পথ দেখাচ্ছে টাটা, আশ্রয়ের পথ দেখাচ্ছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা - West Bengal News 24

টাটা মেমোরিয়াল হসপিটাল মুম্বাইয়ে চিকিৎসা করাতে গেলে সাধারণ মানুষ যে সমস্যার মধ্যে পড়েন তা হল থাকার জায়গা। মুম্বাই শহরে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকা গরীব, মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। কিন্তু সেই চিন্তা দূর করতে এগিয়ে এসেছে বহু সংস্থা ।যেখানে তারা অতি স্বল্প মূল্যে রোগী এবং তার পরিবারের লোকজনদের সেবার দায়িত্ব নিয়েছেন।

এমন কয়েকটি সংস্থা হলো – শ্রীসান্ত গার্গে মহারাজ ধর্মশালা ( জেজে হসপিটাল কম্পাউন্ড,বাইকুল্লা)-শ্রীসান্ত গার্গে মহারাজ ছিলেন মহারাষ্ট্র রাজ্যের একজন ভারতীয় সাধু এবং সমাজ সংস্কারক । তিনি স্বেচ্ছায় দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করতেন এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রচার এবং বিশেষ করে স্যানিটেশন সম্পর্কিত সংস্কার শুরু করার জন্য বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে বেড়াতেন। 1954 সালে শ্রীসান্ত গার্গে মহারাজের উদ্যোগে ক্যান্সার রোগীর এবং তাদের আত্মীয়দের সেবার জন্য এই ধর্মশালাটি তৈরি করেন। শুরুতে ১২টি রুম ছিল এরপর ১৯৭৮সালে বিশিষ্ট সমাজসেবী মোফোদলাল মোহনলাল মেহেতা এই ধর্মশালাটির বিস্তার ঘটান বর্তমানে এখানে ৫১টি রুম এবং তিনটি ডরমেটরির ব্যবস্থা রয়েছে। একজন ব্যক্তিকে ৬০টাকা দিতে হয় থাকার জন্য এবং ৪০টাকা দিতে হয় তিনবেলা খাবার এবং দুবার চায়ের জন্য। সমগ্র ভারতবর্ষের গরীব, মধ্যবিত্ত শ্রেণীর রোগী এবং তার পরিবারের লোক এখানে আসেন আশ্রয়ের জন্য।এই ধর্মশালাটির বর্তমান অভিভাবক শ্রী একনাথ ঠাকুর মহাশয় তাঁর একক নৈপুণ্যে এই ধর্মশালাটিকে আজ প্রায় ৪২বছর ধরে সামলাচ্ছেন।থাকা এবং খাওয়া ছাড়াও এখানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রোগী এবং তার পরিবারের সদস্যদের যোগব্যায়াম শেখানো হয়।

শ্রীসান্ত গার্গে মহারাজ নামের আরো একটি সংস্থা যারা রোগী এবং তার পরিবারের সদস্যদের জন্য সেবা করে চলেছেন যেটি সেন্ট জর্জ হসপিটাল ক্যাম্পাস ,সিএসটিতে অবস্থিত।এই ধর্মশালাটি শ্রী মোফোদলাল মোহনলাল মেহেতা ২০০১সালে তৈরি করেন‌। বর্তমানে এখানে ৪০টি রুম এবং ২টি ডরমেটরির ব্যবস্থা রয়েছে।এখানেও একজন ব্যক্তিকে ৬০টাকা দিতে হয় থাকার জন্য এবং ৪০টাকা দিতে হয় তিনবেলা খাওয়ার জন্য। এই ধর্মশালাটিকে অত্যন্ত নৈপুণ্যের সাথে সামলাচ্ছেন মাননীয় শ্রী অমল একনাথ ঠাকুর।

এছাড়াও আরো বিভিন্ন সংস্থা রোগী এবং তার পরিবারের সদস্যদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার সেবায় নিযুক্ত রয়েছেন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য