বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরির পরে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির নজর ভারতের দিকে, কোন পথে নিশানা
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
বাংলাদেশে অস্থিরতার জেরে পদত্যাগে বাধ্য হয়ে দেশ ত্যাগ করে এখন ভারতে রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা। তবে ক্ষমতাচ্যুত ঙওয়ার পর থেকে সেই দেশের একাধিক জেল ভেঙে দুর্ধর্ষ জঙ্গিদের জেল পালানোর ঘটনাও ঘটেছে।
গোয়েন্দা সূত্রের অনুমান, বাংলাদেশের ঘটনা প্রতিবেশী ভারতে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের হামলার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বিক্ষোভ ছাত্রদের হাতে থাকার দাবি করা হলেও, হিন্দুদের বিরুদ্ধে আক্রমণ থেকেই বোঝা গিয়েছে এইসব কাজ সন্ত্রাসবাদীরাই সংগঠিত করেছে।
বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর যোগসাজস
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে জম্মু ও কাশ্মীরে কাজ করা পাকিস্তান ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈবা উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালাতে বাংলাদেশের আনসারুল্লা বাংলা টিমের সঙ্গে যোগসাজস করছে। গোয়েন্দাদের দাবি এর পিছনে রয়েছে পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআই। এর পিছনে জামাত-ই-ইসলামিও রয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের আইএসআই বাংলাদেশে শাসন পরিবর্তন অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এক্ষেত্রে তাদের সমর্থন করেছে জামাত-ই-ইসলামি এবং এবিটির মতো সংগঠন।
ত্রিপুরায় মসজিদে হামলার পরে সন্ত্রাসবাদী জোট
ত্রিপুরায় মসজিদে হামলার পরে সন্ত্রাসবাদী দুই সংগঠন লস্কর ও এবিটি জোট তৈরি করেছে। গোয়েন্দাদের ইঙ্গিত, ২০২২ সাল থেকে ২০-১০০ জনের এবিটি ক্যাডার ত্রিপুরায় প্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এর মধ্যে অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
কীভাবে আনসারুল্লা বাংলা টিমের পরিচিতি
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে ২০০৭ সালে জামাত-উল-মুসলিম নামে একটি সংগঠন কাজ শুরু করে। কিন্তু অর্থের অভাবে সেটি প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। পরে ২০১৩-তে আনসারুল্লা বাংলা টিম নামে কাজ শুরু করে। এই সংগঠনকে ২০১৫ সালে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। সেই সময় এই সংগঠন আনসার-আল-ইসলাম হিসেবে নিজেদের চিহ্নিত করে। ২০১৭ সালে এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার পরে সেটি নিজেদজেরকে ভারতীয় উপমহাদেশে আল কায়দার বাংলাদেশি শাখা হিসেবে চিহ্নিত করে।
বাংলাদেশে সক্রিয় সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি
এই মুহূর্তে বাংলাদেশে আনসারুল্লা বাংলা টিম কিংবা ইসলামি ছাত্র শিবির ছাড়াও যেসব সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি সক্রিয় রয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে আনসার আল ইসলাম, লস্কর-ই-তৈবি, হরকাত-উল-জিহাদ আল ইসলামি বাংলাদেশ, জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ, জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ, ইসলামিক স্টেট।
শেখ হাসিনার উদ্যোগ
তবে শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশ সরকার ২০১৩ সাল থেকে চারশোর ওপর আনসারুল্লা বাংলা টিমের সদস্যকে গ্রেফতার করে। এছাড়াও অন্য সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে দমন করতে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন।