কর্নাটকের এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। সেখানে তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা নয়, দেশের মানুষকে পরিষেবা দেওয়াই মূল লক্ষ্য। সেখানে তিনি বলেন, “চাঁদে অভিযানের খরচ অনেক। আমরা শুধুমাত্র সরকারের সাহায্যের ওপর নির্ভর করতে পারি না। আমাদের ব্যবসার সুযোগও দেখতে হয়। যদি গবেষণা চালিয়ে যেতে হয়, তাহলে তার ব্যবহারও বাড়াতে হবে। নাহলে সরকার সব বন্ধ করে দেবে।”
সম্প্রতি ভারতের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা একটি রিপোর্ট সামনে এনেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ইসরোর বিনিয়োগের অনুপাতে লাভ হয় ঠিক কতটা। স্পেস মিনিস্টার জিতেন্দ্র সিং ন্যাশনাল স্পেস ডে-তে জানিয়েছেন, ২০২৪ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে ভারতের জিডিপি-তে স্পেস সেক্টরের অবদান ৬০০০ কোটি ডলার। সেখানেই বলা হয়েছে যে ভারতে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে যা খরচ হচ্ছে, তার ২.৫৪ গুণ ফিরে আসছে। অর্থাৎ ১ টাকা বিনিয়োগ করা হলে, ফিরে আসছে ২.৫ টাকা।
মহাকাশ গবেষণায় এখন বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলিকেও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে ভারত। মঙ্গল থেকে চাঁদ, মহাকাশ অভিযানে একের পর এক মাইলস্টোন ছুঁয়েছে ভারত। এস সোমনাথ একটি রিপোর্টের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে রিটার্নের বিষয়টি রয়েছে। স্পেস সেক্টরে যা রেভিনিউ আসে তার নিরিখে গোটা বিশ্বের মধ্যে অষ্টম ভারত। এই সেক্টর অন্তত ৪৭ লক্ষ কর্মসংস্থান করেছে বলেও জানা যায়।