রিলিজের আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা বাকি। তবে বুধবারও ‘খাদান’-এর অগ্রীম বুকিং শুরু করতে পারলেন না দেব। দর্শক-অনুরাগীদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন তিনি এর জন্যে। কেন এমন অবস্থা ? একমাত্র কারণ তেলেগু সুপারস্টার অল্লু অর্জুনের পুষ্পা।
বড়দিনে চার-চারটে বাংলা ছবির রিলিজ। ২০ ডিসেম্বর ‘খাদান’, ‘সন্তান’, ‘চালচিত্র’ এবং ‘৫ নং স্বপ্নময় লেন’ একসঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে। তবে মূল সমস্যা সেই প্রেক্ষাগৃহ পাওয়া নিয়ে। শিরে সংক্রান্তি! শোনা যাচ্ছে, ‘খাদান’-এর মতোই একই পরিস্থিতির শিকার বড়দিনের আরও দুই রিলিজ- রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘সন্তান’ এবং প্রতীম ডি গুপ্তর ‘চালচিত্র’।
সূত্রের খবর, এই দুই সিনেমাও নাকি একই সমস্যার সঙ্গে যুঝে চলেছে। যদিও দুই পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তাঁদের ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে বড়দিনের অন্যতম রিলিজের তালিকায় থাকা ‘৫ নং স্বপ্নময় লেন’ ছবির পরিচালক মানসী সিনহা জানালেন, “আমার প্রযোজক এখনও সেরকম দুশ্চিন্তা করার মতো কোনও খবর দেননি।”
বুধবার দুপুরে প্রযোজক তথা টলিউড সুপারস্টার দেব খোদ জানালেন, “‘খাদান’-এর অগ্রিম বুকিং শুরু হয়নি বলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি শেষমুহূর্ত পর্যন্ত লড়ে যাচ্ছি। বাংলার প্রেক্ষাগৃহগুলিতে অন্য ভাষার সিনেমার ডিস্ট্রিবিউশনই এর জন্য দায়ী।” অগ্রীম বুকিংয়েই শুধু নয়, নির্দিষ্ট সংখ্যক শো পাওয়া নিয়েও অভিনেতা-প্রযোজক লড়ে যাচ্ছেন। হল মালিক কিংবা সিনে পরিবেশকদের ভূমিকায় যে দেব বেশ অসন্তুষ্ট, তাঁর পোস্টে সেই ক্ষোভের আঁচই পাওয়া গেল।
সপ্তাহ দুয়েক আগে মুক্তি পাওয়া ‘পুষ্পা ২’র জন্য রীতিমতো ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছে টলিউড! টানা দুই সপ্তাহ রমরমিয়ে ব্যবসা করার পরও বড়দিনের সপ্তাহেও যে বাংলার প্রেক্ষাগৃহে দক্ষিণী সিনেমার দাপট বজায় থাকবে, তার আগাম ইঙ্গিত মিলেছে ইতিমধ্যেই। বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল পরিচালক-প্রযোজক তথা অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তাঁর ‘বহুরূপী’ এবার পুজোর মরশুমে রমরমিয়ে ব্যবসা করেছে।
শিবপ্রসাদের মন্তব্য, “আমাদের রাজ্যে এর জন্যে একটা সিনে পলিসি দরকার। বিগত ১৩ বছরে বহুবার এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি আমি নিজেও। ‘বহুরূপী’ও দারুণ ব্যবসা করা সত্ত্বেও অনেক শো কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তখন কেউ প্রতিবাদ করেনি।” অভিমানের সুর শোনা গেল শিবপ্রসাদের কণ্ঠে।