কানাডার শাসকজোটের প্রধান দল ট্রুডোর লিবেরাল পার্টি। ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করার পরেই ট্রুডোর উত্তরসূরি কে হবেন, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। লিবারেল পার্টির পরবর্তী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে অন্য অনেকের সঙ্গে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দও। প্রসঙ্গত, অনিতা আনন্দ প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর সরকারের পরিবহণমন্ত্রী।
চলতি বছরের শেষেই কানাডায় সাধারণ নির্বাচন। এই নির্বাচনে লিবারেল পার্টির ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বর্তমানে সে দেশের পরিবহণমন্ত্রীর পদে থাকা অনিতা ২০১৯ সাল থেকে কানাডার সাংসদ। তামিল পরিবারে জন্ম তাঁর। মা পাঞ্জাবী।
এর আগে কানাডার প্রতিরক্ষা দফতরের দায়িত্বও সামলেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তনী। ২০১৩ সালে কানাডার পার্লামেন্টে লিবারেল পার্টি তৃতীয় স্থানে নেমে যাওয়ার পরে দলের নেতৃত্বে এসেছিলেন ট্রুডো। ২০১৫ সালের নির্বাচনে তিনি দলকে ক্ষমতায় ফিরিয়েছিলেন। তারপর থেকে একটানা ন’বছর কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন তিনিই।
কিন্তু তাঁর অন্দরেই শোনা যাচ্ছে ট্রুডোর জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে। যখনই ভোট হোক, লিবারেল পার্টির পরাজয় প্রায় নিশ্চিত।প্রধানমন্ত্রী এবং দলনেতা হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন অক্সফোর্ডের আর এক প্রাক্তনী, কানাডার বর্তমান বিদেশমন্ত্রী মেলানি জোলি।
একদা ট্রুডোর ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত ছিলেন কানাডার প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। কিন্তু সকলকে অবাক করে দিয়ে গত ডিসেম্বরে হঠাৎই পদত্যাগ করেন তিনি। প্রকাশ্যে পদত্যাগের কারণ না-জানালেও শোনা গিয়েছিল নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে ট্রুডোর সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণেই মন্ত্রিসভা ছেড়েছেন তিনি। দলের কঠিন সময়ে দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আছেন তিনিও।