দ্বিতীয় মোদি সরকারের আমল থেকেই দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর নীতি নেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে ধাপে ধাপে বাড়ানো হচ্ছে বাজেটের বরাদ্দও। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই অঙ্ক ছিল ৫ লক্ষ ৯৪ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে চলতি বছরে গতবারের তুলনায় বরাদ্দ বাড়ল ৯ শতাংশ।
সূত্রের খবর , কেনা হবে নতুন ফাইটার জেট, রণতরী, সাবমেরিন, ট্যাঙ্ক, পদাতিক সেনার আগ্নেয়াস্ত্র , ড্রোন , রকেট এবং মিশাইল। অন্যদিকে , মূলধনী ব্যয় ১ লক্ষ ৯২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে বিমান এবং অ্যারো ইঞ্জিনের জন্য ৪৮ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং নৌসেনার যুদ্ধজাহাজের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ২৪ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। উল্লেখ্য , মোট বরাদ্দ ৬ লক্ষ ৮১ হাজার কোটি টাকার মধ্যে মধ্যে ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা ভারতীয় সেনার আধুনিকীকরণে ব্যবহৃত হবে।
বিগত ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে রেকর্ড ৬ লক্ষ ২১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেখেছিল দেশ। এবার তা ছাপিয়ে বরাদ্দ করা হল ৬ লক্ষ ৮১ হাজার কোটি টাকা। অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম কেনা এবং সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার আধুনিকীকরণের জন্য এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “একটি চমৎকার এবং যুগোপযোগী বাজেট পেশ করার জন্য আমি অভিনন্দন জানাই নির্মলা সীতারমণকে।…আমি নিশ্চিত যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দক্ষ নেতৃত্বে এই বাজেট দেশের নিরাপত্তাকে আরও জোরদার করবে এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে এবং বিকশিত ভারতের রূপকল্প বাস্তবায়নে একটি বড় অগ্রগতি ঘটাবে।”
বেতন ও পেনশন সংক্রান্ত ব্যয় বরাদ্দ হয়েছে ১ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে , রাজস্ব ব্যয়ের পরিমাণ ৪ লক্ষ ৮৮ হাজার কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের জিডিপির (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট) ১.৯ শতাংশ প্রতিরক্ষায় বরাদ্দ হয়েছে।