রামেশ্বরমে দেশের প্রথম ভার্টিক্যাল লিফট সেতুর উদ্বোধন! দেশবাসীকে রামনবমীর শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

রবিবার রামনবমী। প্রভু শ্রী রামচন্দ্রের আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে দেশ জুড়ে পালিত রামনবমী। রামনবমীতেই তামিলনাড়ুর মণ্ডপম শহর থেকে রামেশ্বরম দ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত দেশের প্রথম ‘উল্লম্ব’ রেল সেতু পামবানের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ২০১৯ সালে শুরু হয় কাজ।

রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের নকশায় আধুনিক প্রযুক্তিতে এই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটি নির্মাণে খরচ পড়েছে মোট ৫৩৫ কোটি টাকা। এই রেল সেতু দেশের প্রথম ভার্টিকাল লিফট রেল ব্রিজ, যা প্রয়োজনে নিজেই নিজেকে তুলতে পারে আকাশে যাতে বিশাল জাহাজ সমুদ্রপথে নির্বিঘ্নে পার হতে পারে।

তামিলনাড়ুর মূল ভুখণ্ডের সঙ্গে রামেশ্বরম বা ধনুষকোটির যোগাযোগের জন্য একটি সাধারণ সেতু রয়েছে। যার উপর দিয়ে যান চলাচল করতে পারে। এছাড়া পুরনো পামবান সেতু রয়েছে। যার উপর দিয়ে ট্রেন চলাচল করতে পারে। এই পুরনো পামবান সেতুটি অবশ্য ২০২২ সালের পর থেকে বন্ধ। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়ায় খুব সহজেই প্রতি ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার বেগে এই নতুন রেল সেতু হয়ে ছোটানো যাবে ট্রেনগুলি। ভারতের মূল ভুখণ্ডের সঙ্গে রামেশ্বরমের সংযোগস্থাপনকারী সেতু পামবান।

নয়া পামবান ব্রিজের দৈর্ঘ্য প্রায় ২.০৮ কিলোমিটার। দু’প্রান্তের প্রায় ৩৫ মিটার উঁচু স্তম্ভ থেকে সেই সেতুকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। পুরনো পামবান সেতুও উঁচু করা যেত। কিন্তু সেটা উঁচু করতে ৪৫ মিনিট সময় লাগত। এবার থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন পামবান সেতু সাড়ে ৫ মিনিটেই ১৭ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারবে।

সেতুর মাঝবরাবর ৭২.৫ মিটার লম্বা এবং ৬৪০ টনের উলম্ব অংশ আছে, জাহাজ পারাপারের জন্য যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১৭ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে যাবে। নতুন সেতুর জন্য প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা এখন যেন আরও কাছে চলে আসবে, মাত্র ১২ নটিক্যাল মাইল দূরে।