লাগবে না কোন রাজনৈতিক নেতাকে, লক্ষ্মীবারে কলকাতায় মহামিছিলের ডাক যোগ্য চাকরিহারাদের

সুপ্রিম নির্দেশে চাকরি হারা হয়েছেন ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী। যোগ্য অযোগ্যদের আলাদা না করা , মাঝখান থেকে যোগ্যদের চাকরি হারানো – গত কয়েকদিনে এটাই পশ্চিমবঙ্গের অত্যন্ত চেনা ছবি। ইতিমধ্যেই চাকরি হারাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য সরকার।

নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে ভলান্টিয়ারি সার্ভিস বা স্বেচ্ছাশ্রম করার কথাও বলেছেন তিনি। আর এরপরই শুরু হয়েছে দফায় দফায় বিক্ষোভ-আন্দোলন। সাম্প্রতিককালে নিয়োগ সংক্রান্ত দাবি নিয়ে আন্দোলন কম দেখেনি কলকাতা শহর। এবার ফের রাজপথে সেই আন্দোলনের ছবি।

বুধবার রাজ্যের ডিআই অফিসগুলিতে অভিযান চালান চাকরিহারা শিক্ষকরা। আর এবার শহরের বুকে মহামিছিলের ডাক দিলেন তাঁরা। দুপুর ১২টায় শিয়ালদহ স্টেশনে জমায়েত করার ডাক দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে মিছিল যাবে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত। এরপর কলকাতাতেই থাকবেন সবাই।

শুক্রবার সব যোগ্য শিক্ষকরা স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসে যাবেন। তবে আলাদাভাবে পুলিশের অনুমতি নিতে চান না তাঁরা। চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা জানান, আগামিকাল, বৃহস্পতিবার শিয়ালদহ স্টেশন থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত হবে মিছিল। শুধুমাত্র শিক্ষক নয়, চিকিৎসক থেকে বুদ্ধিজীবী- সবাইকেই মিছিলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।

মিছিলে কোনও রাজনৈতিক নেতার উপস্থিতি চাইছেন না তাঁরা। ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পুলিশকে জানানো হচ্ছে শুধুমাত্র। তাঁরা বলেন, “আর অনুমতি নিচ্ছি না। কারণ পুলিশ আমাদের কোনও কিছুতেই আর অনুমতি দিচ্ছে না। মেইল করে জানিয়ে দেওয়া হবে।” যদিও চাকরি যাওয়ার পিছনে বিজেপিও সিপিএমকে মুখ্যমন্ত্রী দায়ী করলেও বিরোধীরা খুব স্বাভাবিকভাবে চাকরি হারাতে দুর্দশার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় , তার দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং তার রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছে।