সব টাকা দেহব্যবসা করে কামিয়েছি, আদালতে স্বীকারোক্তি বলিউডের এক নম্বর নায়িকার
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

গ্ল্যামার জগতের ঝলমলে আলোর আড়ালে যে অন্ধকার লুকিয়ে থাকে, তা আমরা খুব কম জনেই জানি। পর্দায় যেসব চরিত্রে নায়ক-নায়িকারা অবতীর্ণ হন, দর্শকেরা সেই চরিত্রের সাথেই তাঁদের বাস্তব জীবনকে মিলিয়ে ফেলেন। কিন্তু মেকআপ তুলে রাখার পর, আদৌ কি তাদের আসল রূপ সামনে আসে? নাকি বাস্তব জীবনেও চলে আরেকটা চিত্রনাট্য?
এই প্রশ্নই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে যখন বলিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজের মুখেই ঘোষণা করেন— “আমি দেহব্যবসা করেই এই টাকাগুলো কামিয়েছি!” এমন বিস্ফোরক বক্তব্যে চমকে গিয়েছিল গোটা বিনোদন দুনিয়া।

কথা হচ্ছে মালা সিনহার। ষাট ও সত্তরের দশকের অন্যতম সফল অভিনেত্রী, যিনি উত্তম কুমার, রাজ কাপুর, কিশোর কুমার, দেব আনন্দ, ধর্মেন্দ্রের মতো তারকাদের সঙ্গে সমানতালে অভিনয় করেছিলেন। সে সময় তিনি ছিলেন সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া নায়িকাদের একজন। ১৯৭৮ সালে মালা সিনহার বাড়িতে আয়কর দফতরের হঠাৎ হানা পড়ে। তদন্তে তাঁর বাড়ির বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় ১২ লক্ষ টাকা। সেই সময়ের হিসাবে এই অঙ্ক ছিল বিশাল।

মালার কাছে এর কোনও হিসাব না থাকায় ঘটনাটি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এবং সেখানেই ঘটে বিস্ময়কর ঘটনা— আদালতের মধ্যে চিৎকার করে তিনি বলেই ফেলেন, “আমি সব টাকা দেহব্যবসা করেই কামিয়েছি!” শোনা যায়, এই কথাটি বলার পেছনে ছিলেন তাঁর বাবা, যিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত আইনজীবী। হয়তো আইনি কৌশল হিসেবে এমন কিছু বলতেই পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত যে মালা সিনহার কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল, তা তখন তিনি বুঝতে পারেননি।

এই ঘটনার পর থেকেই বলিউডে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একের পর এক সিনেমা হাতছাড়া হতে থাকে। যদিও শেষমেশ তাঁকে মোটা অঙ্কের জরিমানা দিয়ে রফা করতে হয়েছিল বিষয়টি, তবুও তাঁর ক্যারিয়ারের যে ক্ষয় শুরু হয়েছিল, তা আর থামেনি।
সত্য হোক বা মিথ্যে, মালা সিনহার এই বিতর্ক আজও রয়ে গেছে বলিউডের ইতিহাসে এক আলোচিত অধ্যায় হয়ে।