পরিকল্পিতভাবে মুর্শিদাবাদে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা! “কী হয়েছিল প্রমাণ দেব”, চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
ওয়াকফ সংক্রান্ত অশান্তি কিছুটা প্রশমিত হতেই মুর্শিদাবাদে সফরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সফর থেকেই তিনি এই অশান্তির সম্পূর্ণ দায় বিজেপির উপর চাপালেন। তাঁর দাবি, গোটা পরিস্থিতি শুরু থেকেই তিনি পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং যা তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে স্পষ্ট যে ইচ্ছাকৃতভাবেই মুর্শিদাবাদকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা হয়েছে। শুধু দাবি করেই থেমে থাকেননি তিনি—সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি প্রয়োজনীয় ‘প্রমাণ তুলে ধরবেন’ বলেও জানান। একই সঙ্গে কোনও নাম না করেই হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির দিকেও ইঙ্গিত করেন তিনি।
পূর্বেই জানা গিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী জাফরাবাদে নিহত হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের পরিবার ও অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তবে এর আগেই, হঠাৎ করে নিখোঁজ হন ওই দুই নিহতের স্ত্রীরা। প্রথমে অপহরণের আশঙ্কা করা হলেও পরে তাঁদের খোঁজ মেলে সল্টলেকে। মুখ্যমন্ত্রীর আগমনের খবর থাকা সত্ত্বেও তাঁরা এলাকায় ফেরেননি।
এই ঘটনার পিছনেও বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহরমপুর থেকে তিনি বলেন, “আমি ভেবেছিলাম ওদের সঙ্গে কথা বলব কিন্তু তা তো হচ্ছে না। বিজেপি ওদের সরিয়ে নিয়েছে।” এরপর প্রশ্ন তোলেন, “কেন এই লুকোচুরি? কী আড়াল করার চেষ্টা?” বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, “সাম্প্রদায়িক অশান্তি যারা করে, আমরা তাঁদের ঘৃণা করি।” একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে বহিরাগতদের প্রসঙ্গও।
এদিন ধর্মস্থানের দায়িত্বে থাকা কিছু ব্যক্তিকে নাম না করে কটাক্ষ করেন মমতা। তাঁর কথায়, “কয়েকজন ধর্মীয় নেতা সেজেছে। পালে বাঘ না পড়লেও বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করে রাজনৈতিক সুবিধা নেয়। এরা গৃহশত্রু। আমি সকলকে মিত্র ভাবি। আমার কোনও শত্রু নেই। কিন্তু দাঙ্গা যারা করে তাঁদের আমরা মিত্র ভাবি না। মনে রাখতে হবে, মুর্শিদাবাদের ইতিহাস আছে। এটা বাংলার রাজধানী ছিল।”
এরপর ফের বিজেপি ও কিছু ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, “গণ্ডগোল কারা করিয়েছেন, সবাই জানে। এরা নাকি ধর্মের নেতা! মুর্শিদাবাদে কী হয়েছিল আমার কাছে প্রমাণ রয়েছে। তবে আর কিছু প্রমাণ হাতে আসবে। তারপর সব সকলের সামনে তুলে ধরব।” পাশাপাশি আবারও তিনি স্পষ্ট করেন, তিনি কোনও দলের বিরুদ্ধে নন, তবে দাঙ্গার রাজনীতির বিরুদ্ধে তিনি বরাবরই।