আমেরিকার মধ্যস্থতায় চালু হওয়া সাময়িক যুদ্ধবিরতির মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যেই সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয় সীমান্তে। নিরীহ ভারতীয় নাগরিকদের লক্ষ্য করে গোলাগুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। কিন্তু ভারতীয় সেনার কড়া জবাবের মুখে পড়ে এখন বরং দায় এড়াতে পাল্টা অভিযোগ তুলছে ইসলামাবাদ। তাদের দাবি, “সংঘর্ষবিরতির চুক্তি মেনে চলার ব্যাপারে পাকিস্তান অঙ্গীকারবদ্ধ, বরং কিছু ক্ষেত্রে ভারতই তা লঙ্ঘন করছে।”
শনিবার বিকেল ৫টা থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করা হয় আমেরিকার তরফে। পরে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রকও পৃথক বিবৃতি জারি করে বিষয়টি নিশ্চিত করে। কিন্তু রাত হওয়ার আগেই ফের সীমান্তে পাক সেনার গুলিবর্ষণের ঘটনা সামনে আসে। এমনকি কাশ্মীরের কিছু অঞ্চলে ড্রোন হামলার অভিযোগও ওঠে। ভারতীয় সেনা পাল্টা ব্যবস্থা নেয়।
এই প্রেক্ষিতে শনিবার রাতেই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতি দিয়ে জানায়, “সংঘর্ষবিরতির বাস্তবায়নে পাকিস্তান দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং অনুগত। কিছু কিছু এলাকায় ভারত চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করছে। তবে আমাদের সেনাবাহিনী সংযমের সঙ্গে ভারতীয় হামলার মোকাবিলা করেছে।” আরও বলা হয়েছে, এই চুক্তিকে সম্মান জানায় পাকিস্তান এবং যদি বাস্তবায়নে কোনও অসুবিধা হয়, তাহলে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা উচিত। দুই দেশের সেনাবাহিনীকে সংযত হওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে বিবৃতিতে।
প্রসঙ্গত, অতীতেও বহুবার পাকিস্তান চুক্তি ভঙ্গ করে ভারতের বিরুদ্ধে দায় চাপানোর চেষ্টা করেছে। পহেলগাঁও ঘটনার ক্ষেত্রেও একই কৌশল নিয়েছে তারা—ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে ভারতকে দোষী দেখানোর চেষ্টা করছে। এই প্রবণতা অবশ্য নতুন কিছু নয়, বরং চিরচেনা।