বিচিত্রতা

কারাগারে বন্দির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক, কারা কর্মকর্তার কারাদণ্ড

কারাগারে বন্দির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক, কারা কর্মকর্তার কারাদণ্ড - West Bengal News 24

যুক্তরাজ্যের ডনকাস্টারের এইচএমপি লিন্ডহোম কারাগারে বন্দির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে এক নারী কারা কর্মকর্তাকে ১০ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেফিল্ড ক্রাউন কোর্টে শুনানিতে বলা হয়, সিসিটিভি ফুটেজে ২৪ বছর বয়সী মরগান ফার ভার্নিকে কারাগারের একটি কাবার্ডে এক পুরুষ বন্দির সঙ্গে ঢুকতে দেখা যায়।

এ ছাড়াও, তাদের ‘ঘোরাঘুরি’ ও ঘনিষ্ঠ অবস্থার বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ আদালতে উপস্থাপন করে কর্তৃপক্ষ।

গ্রেফতারের পর ভার্নি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, তিনি ওই বন্দীর প্রেমে ‘পুরোদমে’ পড়ে গিয়েছিলেন এবং নিজের জীবন নষ্ট করে ফেলেছেন।

তরুণী এই কারা কর্মকর্তা ২০২২ সালের এপ্রিলে এইচএমপি লিন্ডহোমে যোগ দেন। এখানে তিনি দুর্নীতি প্রতিরোধ ও বন্দীদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তার এই বিশেষ প্রশিক্ষণের পরও চাকরি চলাকালীন তিনি ওই বন্দির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

তদন্তকারীরা বন্দীর কারাগার কক্ষ থেকে ভার্নির পাঠানো প্রেমপত্র উদ্ধার করেন।

এছাড়া, ভার্নির নিজ কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে একই ধরনের চিঠি খুঁজে পান তারা।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তাকে সরকারি দায়িত্বে থেকে অসদাচরণ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।

পরবর্তীতে তিনি জামিনে মুক্তি পান ও চাকরি থেকে পদত্যাগ করেন। যদিও বন্দিকে অন্য এক কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

তবে এতে সম্পর্ক থেমে থাকেনি। হ্যাম্পশায়ারের এইচএমপি উইলস্টনে বন্দীর কাছ থেকে ফের ভার্নির ছবি উদ্ধার করা হয়।

নর্থ ইয়র্কশায়ারের স্টেইনফোর্থ এলাকার বাসিন্দা ভার্নি। তিনি পরবর্তীতে আদালতে দোষ স্বীকার করেন।

সাউথ ইয়র্কশায়ার পুলিশের প্রিজন অ্যান্টি-করাপশন ইউনিটের ডিটেকটিভ কনস্টেবল স্কট জারভিস বলেন, ‘কারারক্ষী ও বন্দির মধ্যে অনৈতিক সম্পর্কের ঘটনা আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখি এবং এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে কঠোর তদন্ত করা হয়।

তিনি আরো বলেন, ‘এ ধরনের সম্পর্ক বিরল হলেও, তা কারা ব্যবস্থার সুনাম ক্ষুণ্ণ করে এবং সৎ ও নিয়ম মেনে চলা অন্য কর্মকর্তাদের জন্য হুমকি তৈরি করে।’

এর আগে ২০২৩ সালে কয়েদিদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগে ১৮ জন নারী স্টাফকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় কারাগার এইচএমপি বারউইন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য