রাজনীতিরাজ্য

শেষ মুহূর্তে বদল, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলে থাকছেন না ইউসুফ পাঠান

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

Yusuf Pathan : শেষ মুহূর্তে বদল, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলে থাকছেন না ইউসুফ পাঠান - West Bengal News 24

শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনল তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলে আর থাকছেন না দলীয় প্রতিনিধি। শনিবার যে খবর পাওয়া গিয়েছিল, তাতে ইউসুফ পাঠানকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাঠানো হবে বলা হয়েছিল। তবে রাত পেরোতেই চিত্রটাই পাল্টে যায়। ইউসুফ পাঠানের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করে নেয় তৃণমূল।

অপারেশন সিঁদুর এবং সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতের অবস্থান আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরতে একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র সরকার। এই ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলে থাকছেন বিভিন্ন দলের সাংসদরা। কংগ্রেসের শশী থারুর, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে এবং বিজেপির রবি শঙ্কর প্রসাদ সহ আরও বেশ কয়েকজন সাংসদ রয়েছেন সেই তালিকায়। তৃণমূলের তরফেও ইউসুফ পাঠানের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল, এবং কেন্দ্র তা মঞ্জুর করেছিল।

রবিবার বিদেশ মন্ত্রক ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরণ রিজিজুর দপ্তর ইউসুফ পাঠানের পাসপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল বিদেশ সফরের প্রস্তুতির জন্য। কিন্তু হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত বদলে জানানো হয়, তৃণমূল এই প্রতিনিধি দলে কাউকেই পাঠাবে না। ঠিক কী কারণে এই বদল, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি তৃণমূল।

তবে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “আমরা সম্পূর্ণ ভাবে দেশ এবং জাতীয় স্বার্থের পক্ষে। কিন্তু আন্তর্জাতিক কূটনীতি কেন্দ্রের কাজ। সেটা তারাই করুক।”

এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি জানি না এটা কোথা থেকে আপনারা জেনেছেন। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে দল কেন্দ্রীয় সরকারের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়বে। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়ার ক্ষেত্রে কড়া নিন্দা জানাই। কিন্তু দৌত্যর ক্ষেত্রে কে যাবে সেটা পার্টির সিদ্ধান্ত। এটা বিজেপি ঠিক করে দিতে পারে না। একজন চাইলে পাঁচ জনের নাম আমরা দেব। কিন্তু সেটা তো দলের সিদ্ধান্ত। তৃণমূল কিন্তু এটাকে বয়কট করছে না। অনেক বিরোধী দল প্রথম থেকে সেটার বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু তৃণমূল একেবারেই সেটা করেনি।”

দলীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল সাংসদকে সরাসরি ফোন করে পাসপোর্ট চাওয়া হয়েছিল, অথচ সেই সিদ্ধান্তের আগে দলনেত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করা হয়নি। বিষয়টিকে দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলার পরিপন্থী হিসেবে দেখা হচ্ছে।

শুধু তৃণমূল নয়, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী) পক্ষেও রয়েছে অসন্তোষ। প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদীকে প্রতিনিধি দলে রাখা হলেও, এই সিদ্ধান্তে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি। এই নিয়ে সঞ্জয় রাউতের প্রতিক্রিয়া, “বরযাত্রী পাঠানোর এত তাড়াহুড়ো কেন?”

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য