বলিউডে ষাট পেরিয়েও যারা সুপারস্টারদের তালিকায় রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনিল কাপুরের (Anil Kapoor) নাম নিঃসন্দেহে প্রথম সারিতে। বয়স যেন তাঁর কাছে শুধুই সংখ্যা! ৬৭ বছর বয়সেও চেহারায় টানটান ফিটনেস ও তারুণ্য— দেখে বিশ্বাস করাই কঠিন। নিয়মিত শরীরচর্চা আর কড়া ডায়েট মেনে চলার ফলেই আজও অনিল কাপুরের উপস্থিতি নজরকাড়া। এমনকি বর্তমান প্রজন্মের তারকাদের সঙ্গেও পাল্লা দিতে পারেন অনায়াসে। সেই ফিটনেস আইকনই নাকি ‘নাইট ম্যানেজার’ সিরিজের শুটিংয়ে প্রতিদিন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের (Saswata Chatterjee) খাওয়ার ধরন এবং শারীরিক গঠনের বিষয়ে মজা করতেন।
ওই সিরিজে অনিল কাপুরের কাছের বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শাশ্বত। তাঁর অভিনয় দেখে অনিল এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। বলেন, “এই সিরিজে তুমি আমার থেকেও ভালো অভিনয় করেছো।” তবে অভিনয়ের পাশাপাশি শুটিং চলাকালীন শাশ্বতের শারীরিক অবস্থা নিয়েও বারবার মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শাশ্বত জানিয়েছেন, “এর মধ্যে অনিল কাপুরের সঙ্গে অনেকদিন ধরে অভিনয় করলাম। খাওয়াদাওয়া আর আমার চেহারা নিয়ে ভদ্রলোক আমাকে নিয়মিত খোঁটা দিতেন।” তবে সবটাই নাকি নিছক মজা করে নয়, ভালো উদ্দেশ্যেই বলতেন অনিল। শাশ্বতের কথায়, “আমার ভালোর জন্যই বলতেন। আমাকে উদাহরণ দিতেন- ওই হিরোটিকে দেখো, তোমারই মতো বয়স হয়তো ওর, কিন্তু সে সিক্স প্যাক নিয়ে ঘুরছে। আর তুমি ফ্যামিলি প্যাক নিয়ে ঘুরছ।” অনিল কাপুর আরও বলতেন, “তোমার মধ্যে পসিবিলিটিজ রয়েছে।” এসব কথাই শাশ্বতের মধ্যে পরিবর্তনের জাগরণ ঘটায়। এরপর থেকেই নিজের ডায়েটে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছেন তিনি, অনেক বেশি সচেতন হয়েছেন খাবার নিয়ে।
শাশ্বত আরও জানান, প্রতিদিন সকালে তিনি যখন কফি নিয়ে বের হতেন, তখন অনিল কাপুরকে জিম থেকে বেরোতে দেখতেন। তাঁর বয়সে এমন উৎসাহ দেখে মুগ্ধ হয়ে নিজেকেও বদলানোর অনুপ্রেরণা পেয়েছেন তিনি। বাংলা চলচ্চিত্রের গণ্ডি ছাড়িয়ে এখন তিনি বলিউড ও দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও সমানভাবে প্রতিষ্ঠিত। ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’-তে ‘কমান্ডার মানস’-এর চরিত্রে অভিনয়ের পর সারা দেশেই তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক বলিউড ও দক্ষিণী তারকার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন শাশ্বত, ‘নাইট ম্যানেজার’-এ অনিল কাপুরের সঙ্গে অভিনয়ও হয়েছে তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।