সব প্রস্তুতি সেরে নেওয়া হয়েছিল, মনে হচ্ছিল ভারতের মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে এক নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে। কিন্তু শুরুতেই এল বাধা। ‘গগনযাত্রী’ শুভাংশু শুক্লার (Shubhanshu Shukla) মহাকাশ অভিযানের দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। “১০ জুন, মঙ্গলবার চার যাত্রীকে নিয়ে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল অ্যাক্সিয়ম-৪ মহাকাশযানটির।”
কিন্তু আবহাওয়ার কারণে সেই পরিকল্পনায় বাধা আসে। ইসরো সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে জানিয়েছে, “নির্দিষ্ট সময় অভিযান হচ্ছে না। তা অন্তত ২৪ ঘণ্টা পিছিয়ে যাচ্ছে।” ইসরোর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন জানিয়েছেন, “১০ জুনের বদলে ১১ জুন, বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মহাকাশযান পৃথিবীর থেকে মহাশূন্যে পাড়ি দিতে চলেছে।”
দেশীয় প্রযুক্তি ও দক্ষতার জোরেই তৈরি হয়েছে ‘গগনযান’ প্রকল্প, যা ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার এক ঐতিহাসিক অধ্যায় হতে চলেছে। সেই মিশনের আগে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের উদ্দেশ্যে বেসরকারি উদ্যোগে যাত্রার জন্য তৈরি হয়েছেন ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা।
তাঁর সঙ্গে থাকবেন মহাশূন্যে দীর্ঘ সময় কাটানো মার্কিন নভোচর পেগি হুইটসন, এবং পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরি থেকে আরও দুই নভোচারী। “অ্যাক্সিয়ম-৪ ক্যাপসুলে এই চারজনের ওড়ার কথা ছিল মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ।” কিন্তু আবহাওয়ার পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়ায় ইসরো সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত করে। এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশিত এক পোস্টে ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “অভিযান পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
নতুন সূচি অনুযায়ী, “বুধবার ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ অ্যাক্সিয়ম-৪’এর উড়ান।” এই মুহূর্তটি ইসরোর সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। আশির দশকে রাকেশ শর্মার পর, শুভাংশু শুক্লা হতে চলেছেন সেই পরবর্তী ভারতীয় যিনি ইতিহাস গড়ার লক্ষ্যে মহাশূন্যে পা রাখতে চলেছেন।
“অ্যাক্সিয়ম ফোরের চার নভোচর আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে কাটাবেন সপ্তাহ দুয়েক।” তাঁরা সেখানে নানা বৈজ্ঞানিক কাজকর্ম সম্পন্ন করবেন। মহাকাশ থেকে অভিজ্ঞতা অর্জনের পর, শুভাংশু ‘গগনযান’ প্রকল্পেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন বলে ইঙ্গিত মিলছে। আপাতত, সবার চোখ তাঁদের সাফল্যের দিকেই।