বন্যা পরিস্থিতির মাঝে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে দেবকে কটাক্ষ বিজেপি বিধায়কের, পালটা জবাব সাংসদের
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
অবিরাম বৃষ্টিতে জলমগ্ন পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়াসহ রাজ্যের একাধিক জেলা। পরিস্থিতি বন্যার দিকে মোড় নেওয়ায় ফের আলোচনায় উঠে এসেছে বহু প্রতীক্ষিত ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান। এর মধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় তৃণমূল সাংসদ দেবকে নিশানা করেছেন বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট। তবে চুপ থাকেননি দেবও। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার দিকে আঙুল তুলে দিয়েছেন নিজের সোশাল মিডিয়া পোস্টে। বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সহযোগিতা না পাওয়াতেই ঘাটালের মানুষ আজ সমস্যার মধ্যে পড়েছেন।
বর্ষা শুরু হতেই ঘাটাল-সহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। লক্ষাধিক মানুষ এখন জলবন্দি। এই পরিস্থিতিতে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান ঘিরে ফের একবার রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। সোশাল মিডিয়ায় বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট তীব্র আক্রমণ করেন সাংসদ দেবকে। তিনি লেখেন, ‘এবার দেখবেন পাগলু ঘাটালে শ্যুটিং করতে আসবেন। আর কতবার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেবেন? আপনি নিজের ঢাক নিজেই বাজিয়েছিলেন। এখন মানুষ ওনাকে ঢপবাজ বলছেন। আপনি শুধু মিথ্যা কথা বলতে জানেন, অভিনয় করতে জানেন। সিনেমা আর বাস্তবকে এক মনে করেছেন। ঘাটালের মানুষ আজ জবাব চাইছে।’
এই কটাক্ষের জবাব দিতে বেশি সময় নেননি দেব। রবিবার তিনি নিজের সোশাল হ্যান্ডেলে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন কেন এখনও পর্যন্ত কাজ শুরু হতে দেরি হয়েছে। তিনি লেখেন, ‘বিগত ১০ বছর ধরে লোকসভার সকল অধিবেশনে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের স্বপক্ষে সওয়াল করে এসেছি। অনেক চেষ্টার পরও কেন্দ্রীয় সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। ২০২৪ সালে রাজ্য সরকারই সিদ্ধান্ত নেয় এবং এক তৃতীয়াংশ বাজেট (৫০০ কোটি) বরাদ্দ করে। ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে কাজ শুরু হয়। এই মাস্টারপ্ল্যানে ৭৮ কিমি + ৫২ কিমি নদীর ড্রেজিং থেকে শুরু করে বাঁধ, ব্রিজ ,খাল কাটা, খালের সংস্করণ, কৃত্রিম নদী তৈরি করা, জমি অধিগ্রহণ সবই আছে। যার সময়সীমা কমপক্ষে ৪-৫ বছর।’
তিনি আরও লেখেন, ‘ঘাটালে বন্যা হওয়ার পর মানুষের অভিমান যথারীতি জনপ্রতিনিধিদের উপরেই হবে।’ তাঁর মতে, প্রকৃত কারণ জানার আগেই অনেক সময় মানুষের ক্ষোভের শিকার হতে হয় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের। শেষমেশ দেব আশ্বাস দেন, ’দুর্যোগে সরকার এবং প্রশাসন আপনাদের পাশে সবসময় রয়েছে।’