শিশুর বুদ্ধির বিকাশ ঘটুক সহজ ও সঠিক উপায়ে
প্রতিনিয়ত শিশুদের শরীরের বিকাশ যেমন হয় তেমন বুদ্ধিও বাড়তে থাকে প্রায় প্রতি মুহূর্তেই! তাই বলে ধরে নেবেন না যে একজন বুদ্ধিমান শিশু সবসময় নিজে নিজেই চিন্তাভাবনা করবে। সত্যি কথা বলতে, অনেকক্ষেত্রেই একজন বুদ্ধিমান মানুষ একটু অলস হন, বিশেষ করে ভাবনাচিন্তার ক্ষেত্রে। তাই আপনার শিশুকে সহায়তা করতে হবে আপনারই। তার নিজস্ব বুদ্ধিমত্তার সাথে সক্রিয় হতে হবে আপনাকেও।
১. শিশুদের ভাববার সুযোগ দিন :
শিশুদের যত তাড়াতাড়ি ভাবানো শুরু করবেন তত ভালো। নানা ধরনের পাজল, খেলা ইত্যাদির সাহায্য নিতে পারেন। এছাড়া কিনে দিতে পারেন শিশুদের ভাবনা জাগানোর মতো বইও। তাকে এমন প্রশ্ন করতে পারেন যেগুলো একটু ভেবে উত্তর দিতে হবে। যেমন : ‘যদি’ দিয়ে কোনো বাক্য তৈরি করতে হলে কি সেগুলো সব প্রশ্ন হবে?
শিশুকে জাদুঘরে নিয়ে যান। শিশুদের ভালো লাগবে এমন অনুষ্ঠান ওদের পাশে বসে দেখুন। এরপর ধরুন জাদুঘরে কী দেখলেন বা টিভির অনুষ্ঠানে আসলে কী হলো এই ব্যাপারে আলোচনা করুন। প্রশ্ন করুন। ওদের ভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করে ওদের কল্পনাশক্তি বাড়িয়ে তুলুন।
২. পুরো পরিবার যুক্ত হোন :
ভালো ভাবনা বাড়ে অবশ্যই আদানপ্রদানের মাধ্যমে। তাই পুরো পরিবার যদি একসাথে বসে নানান কথা বলেন, প্রত্যুত্তর নেন, পরস্পরের কথা শোনেন এবং ভাবেন তাহলেই শিশুদের ভাববার অবকাশ ঘটে। যেকোনো ধরনের মজা, হাসিঠাট্টা বাচ্চাদের অন্যভাবে ভাবতে শেখায়। মজার মাধ্যমে তারা কোনো একটি পরিস্থিতি বা ঘটনাকে অন্যভাবে ভাবতে শেখে।
৩. সঠিক শব্দ শেখান :
সঠিক শব্দ বা অর্থ প্রয়োগ করতে শেখান। আপনার বাচ্চাটি পার্কে যার সাথে কথা বলছিল, জিজ্ঞেস করুন সে তার ‘বন্ধু’ না ‘পরিচিত’। এতে যে কেবল ভুল বোঝাবুঝি কমে তা নয়, ধারণা এবং বোধবুদ্ধিও শাণিত হয়।
৪. লিখতে দিন :
আপনার শিশুটি যদি লিখতে শিখে থাকে তাহলে সে কী ভাবছে সেটা তাকে সব সময় লিখতে বলুন। এতে তার ভাবনা সম্পর্কে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন। তার ভাবনা ইতিবাচক হলে প্রশংসা করুন এবং প্রয়োজন পড়লে তাকে শুধরে দিন।
৫. ভবিষ্যতের কথা ভাবতে শেখান :
সব সময়েই আগে কী হবে সেটা ভাবতে শেখান। ‘ভবিষ্যত্’ ব্যাপারটা শিশুকে বোঝানো সমস্যা হলে সুকৌশলে তাকে বোঝান। যেমন : এখন যদি বাচ্চাটি না লেখাপড়া করে তাহলে পরীক্ষার কী হবে? এভাবে তাকে ভবিষ্যত্ সম্পর্কে সচেতন করে তুলুন।