বাঙালি মহিলাদের ছাপিয়ে বাড়ছে পুরুষ যৌনকর্মীর সংখ্যা!
যৌনতার জন্য শুধু যে ছেলেরাই অর্থকড়ি খরচ করে এমন ধারণা এখন অতীত। এক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বের মেয়েরাও পিছিয়ে নেই। সেখানে পুরুষ যৌনকর্মী ভাড়া করে জীবন উপভোগ করছেন তারা।
তবে যৌনকর্মীদের উপর সমীক্ষা চালাতে গিয়ে মাথায় হাত কেরালা স্টেট এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির। সম্প্রতি তাঁদের চালানো এক সমীক্ষাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
রিপোর্ট বলছে, গোটা কেরলজুড়ে নাকি শুধু ১৩ হাজারেও বেশি পুরুষ যৌনকর্মী রয়েছে। আর সেখানে মহিলা যৌনকর্মীর সংখ্যা তার অর্ধেক। তথ্য বলছে গোটা রাজ্যে মাত্র মহিলা যৌনকর্মীর সংখ্যা ১৭ হাজার। স্টেট এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির চালানো সমীক্ষা বলছে, অভিভাসী যৌনকর্মীর সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। সমীক্ষাতে উঠে আসা এই তথ্যই যথেষ্ট ভাবাচ্ছে সংস্থার আধিকারিকদের।
শুধু তাই নয়, সমীক্ষাতে উঠে এসেছে আরও ভয়াবহ কিছু তথ্য। সমীক্ষা বলছে, কেরালার বহু পুরুষ যৌনকর্মী পেশার তাগিদে বাইরে রাজ্যে যান। আবার অন্য রাজ্য থেকে কেরালায় আসা অভিবাসী পুরুষ যৌনকর্মীর সংখ্যাও কম নয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, অভিবাসী পুরুষ যৌনকর্মী কেরালায় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। বিগত কয়েকমাস ধরে এই সংস্থা এই বিষয়ে সমীক্ষা চালায়।
সমীক্ষাতে উঠে আসা আরও তথ্য বলছে, গ্রাম থেকে বহু যৌনকর্মী তারা আসছেন শহরে। যাদের বয়স ৩৬ থেকে ৪৬ বছরের মধ্যে। কেরলের বিভিন্ন হোটেল, ফ্ল্যাট ভাড়া করে রমরমিয়ে তারা যৌন ব্যবসা চালাচ্ছেন। এমনকি কেরলে বেশি বয়সের বিভিন্ন মহিলা এবং পুরুষরা রয়েছেন তারা দালালির কাজও শুরু করে দিয়েছেন। স্থানীয় মানুষ ছাড়াও এদের মূলত টার্গেট বিদেশি এবং দেশি পর্যটকরা।
সমীক্ষাতে উঠে আসা তথ্য বলছে বাংলা থেকেও বহু যৌনকর্মী কেরলে গিয়ে যৌন ব্যবসায় নাম লেখাচ্ছেন। এছাড়াও বিহার এবং ওড়িশা থেকেও বহু লোকজন সেখানে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছে সমীক্ষা। দেখা গিয়েছে, ওই যৌনকর্মীদের একটা অংশ কেরালায় কাজ করতে আসা ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের সম্পর্কে আত্মীয়। অভিবাসী যৌনকর্মীর হার সবথেকে বেশি কেরালার পেরুম্বাবুরে। এই যৌনকর্মীদের অধিকাংশই আবার বাঙালি। বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাঁরা এসেছেন।
আবার পুরুষ যৌনকর্মীদের মধ্যে অধিকাংশই কোঝিকোড় জেলার। এই পুরুষ সেক্স ওয়ার্কারদের মধ্যে ১০ হাজার আবার মাদকাসক্ত। যৌনকর্মীদের মধ্যে সবমিলিয়ে ১৫ জনের রক্তপরীক্ষায় এইচআইভি পজিটিভ ধরা পড়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৪ জন মহিলা যৌনকর্মী, ১১জন পুরুষ যৌনকর্মী। তাদের চিকিত্সারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সমীক্ষা যথেষ্ট চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে সেখানকার আধিকারিক থেকে প্রশাসনকে।