জানা-অজানা

কোন কোন প্রাণীকে পোষ্য হিসেবে বাড়িতে আনা উচিত নয় জানা আছে?

কোন কোন প্রাণীকে পোষ্য হিসেবে বাড়িতে আনা উচিত নয় জানা আছে? - West Bengal News 24

আজকের ডেটে যেভাবে স্ট্রেশ লেভেল বাড়ছে তাতে সবাইকেই পছন্দের কোনও প্রাণী পোষ্য হিসেবে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাদের মতে এমনটা করলে নাকি স্ট্রেল লেভেল মাত্রা ছাড়াতে পারে না। ফলে নানাবিধ মারণ রোগের হাত থেকে রক্ষা মেলে।

কিন্তু একথা জানা আছে কি কোন ধরনের পাখি বা প্রাণীকে পোষ্য হিসেবে বাড়িতে আনলে ব্যাড লাক পিছু নেয়? একেবারেই ঠিক শুনেছেন বাস্তু মতে সব ধরনের প্রাণীকে বাড়িকে রাখা যায় না। কারণ এক একটি প্রাণী পরিবারের অন্দরে যেমন শুভ শক্তির বিকাশ ঘটায়, তেমনি এমনও কিছু প্রাণী আছে যাদের সঙ্গে খারাপ ভাগ্যের যোগ থাকে। ফলে এদেরকে বাড়িতে আনলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বেড়ে যায়!

তাই কোন কোন প্রাণীকে বাড়িতে আনা চলবে না, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা জরুরি। আর একাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে এই প্রবন্ধে। এখন প্রশ্ন হল কোন কোন প্রাণীকে বাড়িতে রাখা যাবে এবং কাদেরকে একেবারেই আনা চলবে না?

১. খরগোস: এই প্রাণীটির বাড়িতে থাকা বেজায় শুভ! শুধু তাই নয়, বাস্তু মতে বাড়িতে খরগোস পুষলে সেই পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি রোজের সঙ্গী হয়। সেই সঙ্গে পরিবারে কারও থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে তাও কমতে শুরু করে।

২. পায়রা: আর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সাক্ষী যদি থাকতে চান, তাহলে আজই বাড়িতে নিয়ে আসুন জোড়া পায়রা। কারণ বাস্তুশাস্ত্রে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই পাখিটিকে বাড়িতে রাখলে পারিবারের অন্দরে অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক নানাবিধ সমস্যাও কমতে শুরু করে।

৩. মাছ: বাস্তু শাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বইয় এমনটা উল্লেখ পাওয়া যায় যে বাড়িতে মাছ পুষলে খারাপ শক্তি গৃহস্তের অন্দরে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে ব্যাড লাক সঙ্গ ছাড়তে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে যেসব মাছ বেজায় ছটফটে, যেমন গোল্ড ফিশ, তেমন মাছ বাড়িতে এনে রাখলে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে স্ট্রেস লেভেলও কমতে শুরু করে।

কোন কোন প্রাণীকে পোষ্য হিসেবে বাড়িতে আনা উচিত নয় জানা আছে? - West Bengal News 24

৪. কুকুর: পোষ্য হিসেবে এই প্রাণীটির জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়া। কারণ পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি সুখ-সমৃদ্ধির আগমণ ঘটাতে এই প্রাণীটির কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। তবে এখানেই শেষ নয়। একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে কুকুরের গায়ে থাকা বেশ কিছু ব্যাকটেরিয়া মানব শরীরে প্রবেশ করার পর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এতটা শক্তিশালী করে তোলে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

৫. ব্যাঙ: এই প্রাণীটিকে অনেকেই বাড়ির ধারে কাছে ঘেঁষতে দেয় না, কিন্তু বাস্তু মতে ব্যাঙের গোঙানি পরিবারে জন্য বেজায় শুভ। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয়, যে বাড়িতে ব্যাঙ ডাকে, সেই পরিবারকে কোনও দিন অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখিন হতে হয় না। সেই সঙ্গে অশুভ শক্তির প্রভাবও কমতে শুরু করে। তাই এবার থেকে বাড়িতে ব্যাঙ দেখলে তাদের ভুলেও তাড়িয়ে দেবেন না যেন!

৬. তোতাপাখি: অনেকেই পোষ্য হিসেবে এই পাখিটিতে পুষে থাকেন। কিন্তু বাস্তু মতে বাড়িতে তোতাপাখি রাখা বেজায় অশুভ। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় এই পাখিটিকে খাঁচায় রাখার কারণে অশুভ শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে সময় লাগে না। আর এমনটা হলে খারাপ কিছু ঘটতে যে সময় লাগে না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

সূত্র: বোল্ডস্কাই

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য