কলকাতা

সামাজিক দূরত্ব রেখে এখনই পরিষেবা সম্ভব নয় : মেট্রো কর্তৃপক্ষ

সামাজিক দূরত্ব রেখে এখনই পরিষেবা সম্ভব নয় : মেট্রো কর্তৃপক্ষ - West Bengal News 24

 

ওয়েবডেস্ক : নবান্নে রাজ্য-মেট্রো রেল বৈঠক শেষ। এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে মিললো না কোনও সমাধান সূত্র। ফলে জুলাইয়ের শুরু থেকেই মেট্রো পরিষেবা বিশ বাঁও জলে।

স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে মেট্রো রেলের আধিকারিকরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এখনই কলকাতা শহরে মেট্রো রেল চালানো সম্ভব নয়। রেলমন্ত্রক-এর সঙ্গে এই বিষয়ে আগে কথা বলুক রাজ্য সরকার। বৈঠকে এমনটাও জানিয়েছেন মেট্রো রেলের কর্তারা।

উল্লেখ্য,জুলাইয়ের শুরুতেই কি ঘুরবে মেট্রোর চাকা? নবান্নে আজ তা নিয়ে ছিল উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। কিন্তু আলোচনা শেষে কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি রাজ্য সরকার কিংবা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।

আনলক ফেজ ওয়ানের পর থেকে অফিস-কাছারি, দোকান-হাট সবই প্রায় খুলে গিয়েছে। কিন্তু সমস্যা মেটেনি যাতায়াতের। সরকারি বাস শুরু থেকে চললেও তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট কম।

ভাড়া বৃদ্ধির দাবি না মেটায় সব বেসরকারি বাস পথে নামেনি। অটো, ট্যাক্সি বা ক্যাবে যাতায়াতের সামর্থ সকলের নেই। ফলে মানুষ তাঁর কর্মস্থলে ঠিক মতো পৌঁছতে পারছেন না।

এই সবকিছু বিবেচনা করে ১ জুলাই থেকে শহরে মেট্রো চালানোর চিন্তাভাবনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে হবে। দেখা হচ্ছে ১ জুলাই থেকে মেট্রো চালানো যায় কিনা! মেট্রো রেলের সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনা করতে হবে।”

মনে করা হয়েছিল ৩ জুলাই থেকেই হয়তো শহরের বুকে চাকা ঘুরতে পারে মেট্রো রেলের। কিন্তু তা আর হচ্ছে না। মেট্রো কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়েছে, যে ধরণের স্বাস্থ্যবিধি বা নিয়মের কথা মেনে পরিষেবা চালু করতে হবে, সেই পরিকাঠামো তাঁদের নেই।

ফলে বিষয়টি রাজ্যের কোর্টে ফেলে দিয়েছে মেট্রো রেল। মেট্রো আধিকারিকরা প্রয়োজনীও পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য রাজ্যকে রেলমন্ত্রকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার করার উপদেশ দিয়েছে।

এদিকে, সারা দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজ্যেও করোনা সংক্রমণ বাড়ছে লাফিয়ে। সেই পরিস্থিতিতে ১২ অগাস্ট পর্যন্ত গোটা দেশে লোকাল-প্যাসেঞ্জার-মেল-সহ সমস্ত রেল পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।

এই পরিস্থিতিতে মেট্রো চালু করতে গেলে একাধিক নিয়মবিধি মানতে হবে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিটি রেকের প্রতিটি গেটে আরপিএফ রাখতে গেলে একটি মেট্রোতেই শুধু ৩২ জন আরপিএফ রাখতে হবে। এখনই আদৌ তা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন মেট্রো আধিকারিকরা।

টিকিট কাউন্টার বা বুকিং কাউন্টারে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা থেকে শুরু করে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্ল্যাটফর্ম-এ কতজন যাত্রীকে একসঙ্গে প্রবেশ করানো হবে, সেগুলি নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয়েছে। কিন্তু পরিকাঠামোর জন্য কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়নি।স্বাস্থবিধির ক্ষেত্রে মেট্রোতে কেউ দাঁড়িয়ে যেতে পারবেন না।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই মেট্রোতে বসতে হবে। যতগুলি সিট, ঠিক ততগুলিই টিকিট বিক্রি করতে হবে। ইত্যাদি এমন অনেক বিষয় কীভাবে বজায় রেখে মেট্রো চালানো যায়, এদিনের বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ উঠে আসলেও বের করা যায়নি সমাধান সূত্র।

সুত্র: বিশ্ববাংলা সংবাদ

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য