শিক্ষা

উচ্চমাধ্যমিকে ৫০০ মধ্যে ৪৯৯ নম্বর পাওয়ার রহস্য জানাল ছাত্রী

উচ্চমাধ্যমিকে ৫০০ মধ্যে ৪৯৯ নম্বর পাওয়ার রহস্য জানাল ছাত্রী - West Bengal News 24

এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে স্রোতশ্রী রায় নামে এক ছাত্রী। ৫০০ নম্বরের মধ্যে ৪৯৯ পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে! স্রোতশ্রী রায় বেহালা শীলপাড়ার বাসিন্দা। আনন্দবাজার পত্রিকা তাদের এক প্রতিবেদন এমন তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, তার এই কৃতীত্বপূর্ণ ফলাফলের রহস্য আর কিছুই না, মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকা আর মনোযোগ দিয়ে পড়াশুনা করা। এ যেন ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। মাধ্যমিকে ভালো ফল করার পর, নতুন মোবাইল পেয়েছিল মেধাবী ছাত্রী স্রোতশ্রী রায়।

তার পর সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে কখনও ফেসবুক, কখনও হোয়াটস্অ্যাপ। কখনও আবার অন্য কোনও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে মগ্ন হয়ে থাকত সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গভর্নমেন্ট গার্লসের এই কৃতী ছাত্রী।

এমনকি মোবাইলের সঙ্গে ১২ ঘণ্টাও কেটে যেত কখনও কখনও। টেস্ট পরীক্ষার ফল যথারীতি খারাপ। সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ানো। সেই মোবাইলকে জীবন থেকে আলাদা করতেই একেবারে সেরার সেরা সে। উচ্চমাধ্যমিকে পাঁচশোর মধ্যে ৪৯৯ নম্বর!

আরও পড়ুন : বাধা ঠেলে উচ্চ মাধ্যমিকে মনের জোরে ‘সব্যসাচী’ সন্দীপন

তার এই মোবাইলের প্রতি আসক্তির কথা নিজেই জানান স্রোতশ্রী। কিভাবে পড়াশোনার মধ্যে মোবাইল প্রতিবন্ধক হয়ে উঠেছিল, সেই অভিজ্ঞতাও শেয়ার করে সে।

বাবা-মা দু’জনেই শিক্ষক। স্রোতশ্রীর ইচ্ছা কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করার। নিজের ফল জানার পর স্রোতশ্রী বলেছে, মোবাইলের জন্য আমার টেস্টের ফল ভাল হয়নি। তারপর মোবাইল থেকে দূরেই থাকতাম। ভাল লাগছে, আমি ৪৯৯ পেয়েছি পাঁচশোর মধ্যে।

উচ্চ মাধ্যমিকে কলকাতার ছাত্রছাত্রীরা এবার ভাল ফল করেছে। এ বছর শেষ তিনটি পরীক্ষা না হওয়ায় মেধাতালিকা প্রকাশ হয়নি।

স্রোতশ্রী ছাড়াও আরও তিন জন পেয়েছে ৪৯৯ নম্বর। তার মধ্যে রয়েছে বাঁকুড়ার বড়জোরা হাইস্কুলের গৌরব মণ্ডল। বাঁকুড়ার কেন্দুয়াডিহি হাইস্কুলের অর্পণ মণ্ডল এবং হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের ঐকিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য