করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু এই রাজ্যে, স্বীকার করে নিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর
ওয়েবডেস্ক : করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে তেলেঙ্গানায়। কে আক্রান্ত আ কে নয় আলাদা করা যাচ্ছে না। এমনটাই মনে করছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যের ডায়রেক্টর অফ হেলথ সার্ভিসেস জি শ্রীনিবাস রাও জানিয়েছেন, ‘করোনাভাইরাস বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।
কেউ জানে না কে শরীরে ভাইরাস বহন করছে আর কে নয়।’ সর্বশেষ রিপোর্ট বলছে, তেলেঙ্গানায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০,৮২৬। মৃত্যু হয়েছে ৪৪৭ জনের। এখন অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ১১,০৫২।
সুস্থ্য হয়েছেন ৩৯,৩২৭ জন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান শ্রীনিবাস রাও জানিয়েছেন, আগামী চার-পাঁচ সপ্তাহ খুবই চিন্তার। পরিস্থিতি জটিলতর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, ‘রাজ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে গ্রেটার হায়দরাবাদ মিউনিসিপাল কর্পোরেশন এলাকায়। কিন্তু সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা এখন কমছে। অন্য দিকে, দ্বিতীয় শ্রেণির শহর ওয়ারাঙ্গল, করিমনগর, নিজামাবাদ-সহ রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় এখন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।’
এর জন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের একাংশের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণকেই দায়ী করেছেন শ্রীনিবাস রাও। তিনি বলেছেন, বেশির ভাগ মানুষ নিয়ম মেনে চললেও অনেকেই বিধি নিষেধকে পাত্তা দিচ্ছেন না। আর তার জন্যই রাজ্যে এই ভাবে সংক্রমণ বাড়ছে।
শ্রীনিবাস রাও আরও বলেন, বহু মানুষ রাজ্যের অন্য জায়গা থেকে প্রতিদিন হায়দরাবাদে আসছেন। দিনের শেষে ফিরে যাচ্ছেন। এদের অনেকে নিয়ম মেনে মাস্কও ব্যবহার করছেন না। আর তাঁদের মাধ্যমেই করোনা ছড়িয়ে পড়ছে অন্যান্য শহরে।
তিনি রাজ্যের মানুষের কাছে জ্বর, ঠান্ডা লাগা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিলে সেটাকে উপেক্ষা না করার আর্জি জানিয়েছেন। কোনও সমস্যা হলেই স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে যাওয়ার পাশাপাশি বিধি নিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে শ্রীনিবাস রাও বলেন, সমস্যা দেখা দিলেই কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।
তেলেঙ্গানার স্বাস্থ্য কর্তা বলেন, আমাদের এখন করোনাভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে। কিন্তু যেচে আক্রান্ত হওয়ার কোনও অর্থ হয় না। তাই সব রকমের নিয়ম মেনে যতটা সম্ভব বাড়িতে থাকাই শ্রেয়।
অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলার পাশাপাশি একান্ত জরুরিতে বের হলেও মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা দরকার।
সুত্র: THE WALL