‘সন্তানসম্ভবা পুত্রবধূকে চাকরি দেওয়া হোক’, আর্জি মৃত কো-পাইলট আখিলেশের বাবার
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও কোঝিকোড় বিমানবন্দরে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের পাইলট দীপক বসন্ত সাঠে ও কো পাইলট অখিলেশ কুমার। সূত্রের খবর, দু’বার বিমান অবতরণের চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়ে যায়। শেষ মেশ তিন বারের চেষ্টায় বিমান অবতরণ করানো হয়। আর তখনই ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
জানা গিয়েছে, প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি হচ্ছিল সেসময় । কমে গিয়েছিল দৃশ্যমানতা । সম্ভবত সেই কারণেই রানওয়ে কোথা থেকে শুরু হচ্ছে, সেই জায়গাটি ঠিক মতো চিহ্নিত করতে পারেননি পাইলট এবং কো- পাইলট । শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিমানটির গতি কমানোর চেষ্টা করেছিলেন চালক ।
[ আরও পড়ুন : ২৪ ঘন্টায় মৃত হাজারেরও বেশি, দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ২২ লক্ষ ]
সেই কারণেই অনেক প্রাণহানি এড়ানো গিয়েছে । বিমানের ইঞ্জিন বন্ধ থাকায় সেটিতে আগুনও ধরেনি । রানওয়েতে ত্রুটির অভিযোগও উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । এই দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে । মারা গিয়েছেন বিমানের পাইলট এবং কো- পাইলটও ।
৩৪ বছরের কো-পাইলট অখিলেশের স্ত্রী সন্তানসম্ভবা । ১৫-২০ দিনের মধ্যেই প্রথম সন্তানের জন্ম দেবেন তিনি । ২০১৭ সালে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের । সেই বছর থেকেই বিমানের পাইলট হিসাবে নিযুক্ত রয়েছেন তিনি। অখিলেশের বাবা দাবি করেছেন, তাঁর পুত্রবধূকে একটি চাকরি দেওয়া হোক। সদ্যোজাত ও নিজের প্রতিপালন করতে তাঁর একটি চাকরির প্রয়োজন ।
অখিলেশের বাবা জানান, রাখির দিন ছেলের সঙ্গে শেষবার ভিডিও কলে কথা হয়েছিল তাঁর । ১৫ অগাস্ট বাড়ি ফিরবেন বলেছিলেন । বাড়িতে নতুন অতিথি আসার আনন্দে মশগুল ছিলেন ছেলে । সন্তানকে দেখে যাওয়াহল না হতভাগ্য বাবার।
[ আরও পড়ুন : ১০১ ধরনের অস্ত্র ও সরঞ্জাম নিজেই বানাবে ভারত, আমদানি বন্ধের ঘোষণা ]
সুত্র: News18