যখন বয়ফ্রেন্ড কষ্ট দেয়, তখন আপনার করণীয়
সম্পর্কে জড়ালে অনেক সময় আসবে এবং বহু ঘটনা ঘটবে যখন মনে কষ্ট পেতে হবে। আপনার বয়ফ্রেন্ড যখন কষ্ট দেবে, তখন প্রতিক্রিয়ায় তাকে কষ্ট দেওয়া ভুল সিদ্ধান্ত। বরং এ সময় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারেন আপনি। সম্পর্ককে আবারো আগের চেহারায় ফিরে পেতে এখানে নিন কয়েকটি পরামর্শ।
১. প্রথম কথা হলো, সঙ্গীর কাজে বা কথায় আপনি যে কষ্ট পেয়েছেন, তা প্রেমিকার কাছে স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে। তাকে জানান, আপনি কি কারণে কষ্ট পেয়েছেন। তাকে বোঝান, আপনার আবেগে তিনি কিভাবে আঘাত করেছেন।
২. প্রেমিককে নিজের ভুল বোঝার সুযোগ দিতে হবে। আর নিজের ভুল বুঝতে পারলেই তিনি নিশ্চয়ই ক্ষমা চাইবেন। তাকে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ দিতে হবে আপনার। আর এ ঘটনার পর কি করবেন, তা আপনার সিদ্ধান্তের ওপর ন্যস্ত করা যায়। ক্ষমা নাও করতে পারেন, অথবা ক্ষমা করে দিন।
৩. কেন বিষয়টি আপনার যন্ত্রণার কারণ হয়েছে, তা ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিন। আপনি যেভাবে বুঝবেন, ঠিক সেভাবে অন্যজন বুঝবেন না। যে কারণে আপনি কষ্ট পেয়েছেন, সে কারণটি হয়তো তার মাথাতেই আসবে না। এগুলো বুঝিয়ে দিতে হয়।
৪. আপনি ছেলেটিকে দারুণ ভালোবাসেন। এর অর্থ হলো, তার মাঝে ভালো লাগার অনেক বিষয় রয়েছে। তিনি নিশ্চয়ই একজন ভালো মানুষ, দায়িত্বশীল সঙ্গী এবং আপনাকে অনেক ভালোবাসেন। এ কারণে আপনি তার প্রেমে পড়েছেন। কাজেই তিনি যখন কষ্ট দেবেন, তখন না বুঝে কষ্ট দেওয়ার ঘটনাটি ঘটার সম্ভাবনা বেশি। কাজেই তাকে বুঝিয়ে দিন যে আপনি কষ্ট পেয়েছেন। কিন্তু একইসঙ্গে এ ঘটনা ভালো কিছু বয়ে আনে। সঙ্গী বুঝতে পারবেন কি করলে আপনি কষ্ট পান।
৫. যদি এমন হয় যে সঙ্গী আপনাকে কষ্ট দেওয়ার পরও ক্ষমা চাইলেন না, তারপরও তাকে কিছু সময় দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। আসলে গোটা ব্যাপারটা নিয়ে তার চিন্তা করা প্রয়োজন। এ ঘটনাটি ঘটলেই তিনি নিজের ভূমিকা সম্পর্কে পরিষ্কার হয়ে যাবেন।
৬. তিনি যা বলছেন, সে কথাগুলো তার দিক থেকে বোঝার চেষ্টা করুন। তিনি হয়তো ভুল শব্দ প্রয়োগ করেছেন। এমন কথা হয়তো বললেন, যা আসলে তিনি বোঝাতে চাননি। সে ক্ষেত্রে ভুলবোঝাবুঝির ঘটনা ঘটে। যে কথা আঘাত করে, তা প্রেমিকাকে আরো পরিষ্কার করে বলতে বলুন।
৭. প্রিয় মানুষটির কাছ থেকে আঘাত পাওয়ার পর আপনাদের সম্পর্কের মূল্যায়ন করুন। এ সম্পর্ক কতদূর এগোতে পারে বা এর ভবিষ্যত কি, তা নিয়ে চিন্তা করুন। মনে রাখবেন, সম্পর্কে এমন টানাপড়েন থাকবেই। কিন্তু এর বেশির ভাগটাই সাধারণ, যা একটু ধীরস্থির থাকলেই বোঝা যায়। কিন্তু যদি সীমা ছাড়িয়ে যায়, তবে মূল্যায়ন করাটা খুবই জরুরি।