জাতীয়

করোনা পরিস্থিতিতে কমছে বেতন

করোনা পরিস্থিতিতে কমছে বেতন - West Bengal News 24

বারবার প্রশ্ন উঠেছিলএই অর্থনৈতিক সংকটকালে কেন সাংসদ মন্ত্রীদের বেতনে কোপ পড়ছে না। অবশেষে সেই সংক্রান্ত বিল পাস হলো সংসদে। এই বিলটি হল মন্ত্রী-সাংসদদের বেতন ভাতা ইত্যাদি সংক্রান্ত বিল। গত কয়েকদিন আগে পাস হয়েছে এই বিলটি।

পাশাপাশি পাস হয়েছে সাংসদদের এলাকার উন্নয়ন তহবিল (এমপি ল্যাড) এর টাকা দু’বছর বন্ধ করার বিল। বেতন-ভাতা কমানোর বিরোধিতা না করলেও এমপি ল্যাড বন্ধ করায় আপত্তি তুলেছে অনেক বিরোধীদল। যদিও দুটি বিল ধ্বনি ভোটে পাস হয়ে গিয়েছে।

করোনা মহামারীর আকার ধারণ করায় দেশজুড়েআর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে। তা সামাল দিতে মন্ত্রী-সাংসদদের বেতন-ভাতার ৩০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার। পাশাপাশি সাংসদ তহবিলের টাকা দু বছরের জন্য বন্ধ করার কথাও ঘোষণা হয়েছিল। এদিকে করোনা সংকটের জন্য বাদল অধিবেশন পিছিয়ে দিতে হয়েছিল ‌। অবশ্য গত সোমবার থেকে বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে।

এদিকে লোকসভায় এই দুটি বিল পাস হওয়ার পর শুক্রবার রাজ্যসভায় দুটি বিল পেশ করা হয়েছে। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদের বক্তব্য, বেতনের টাকায় সাংসদদের সংসার চলে তবুও‌ ‌৩০ শতাংশ কেটে নেওয়ায় আপত্তি তোলা হয়নি।

এইজন্যে সাংসদদের অভিনন্দন প্রাপ্য। কিন্তু সাংসদ তহবিলের টাকা দু’বছরের জন্য বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমজনতা। তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন, দু’বছরের বদলে এক বছরের এমপি ল্যাডের টাকা এক বছরের জন্য করা হোক।

আরও পড়ুন : আতশবাজির ফুলকি থেকে হাইড্রোজেন গ্যাস বেলুনে আগুন লেগে বিস্ফোরণ, আহত ৩০ জন বিজেপি কর্মী (ভিডিও)

প্রসঙ্গত, সংবিধানের ১০৬ নম্বর ধারায় ভারতীয় আইনপ্রণেতাদের নির্দিষ্ট বেতনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আগামী এক বছরের জন্য বিল পাশ করিয়ে তাঁদের ৩০ শতাংশ বেতন কমানো হল। রাজ্য সভায় পেশ হবে এই বিল।

১৯৫৪ সালের মন্ত্রী-সাংসদদের বেতন, ভাতা ও পেনশন আইনে সংশোধন করেই এই বিল আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সহ কতজন মন্ত্রী বেতন পাবেন, তা এই আইনেই নির্ধারেত হয়। করোনা পরিস্থিতিতে গত এপ্রিল মাসেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাংসদ ও মন্ত্রীদের বেতন ৩০ শতাংশ কমানোর প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী।

আগামী এক বছরের জন্য এই বেতন কাটা হবে বলে জানানো হয়েছে। ১ এপ্রিল থেকেই এটি কার্যকর করা হয়েছে। এর ফলে মন্ত্রী, সাংসদরা এতদিন ৬০ হাজার টাকা অফিসের ব্যায় ভাতা পেতেন। এখান তা কমে হয়েছে ৫৪ হাজার টাকা। এছাড়াও বেতন, ভাতা ও পেনশন (সংশোধিত) বিল, ২০২০ -তে কমানো হয়েছে নিয়ামক ভাতাও।

প্রধানমন্ত্রীর নিয়ামক ভাতা ৩ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ২,১০০ করা হয়েছে। অন্যদিকে, ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের ক্ষেত্রে নিয়ামক ভাতা ২ হাজার থেকে কমিয়ে ১ হাজার ৪০০ টাকা করা হয়েছে। একইভাবে প্রতিমন্ত্রী বা জুনিয়র মন্ত্রীদের নিয়ামক ভাতা কমে হয়েছে ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা।

 

সুত্র: কলকাতা ২৪*৭

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য