রাজনীতি

কৃষি বিলের প্রতিবাদে রাজ্যসভার রুল বুক ছেঁড়ার চেষ্টা তৃণমূল সাংসদের

কৃষি বিলের প্রতিবাদে রাজ্যসভার রুল বুক ছেঁড়ার চেষ্টা তৃণমূল সাংসদের - West Bengal News 24

দু’টি কৃষি বিল পাশ হওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল রাজ্যসভা। ওয়েলে নেমে রুল বুক ছেঁড়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের বিরুদ্ধে।

এমন কি, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণের মাইক্রোফোনও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। যদিও রুল বুক ছেঁড়ার চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডেরেক। তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ, ‘সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার হত্যা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

এই ঘটনার পরই আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। ক্ষুব্ধ ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে। কিন্তু বর্তমান হারে ২০২৮ সালের আগে তা সম্ভব নয়।

আমরা শুধু ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিষয়ে আপত্তি করছি না। নতুন বিলগুলিতে গণবণ্টন ব্যবস্থা, ফসল কেনার প্রক্রিয়া, রাজ্যের অধিকারের মতো বিষয়গুলি নিয়েও আমাদের আপত্তি রয়েছে।’

পরে ট্যুইটারে নিজের বক্তব্যের দু’টি ভিডিও পোস্ট করেন ডেরেক ও ব্রায়েন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধীরা কৃষি বিল নিয়ে ভোটাভুটি চাইলেও সেই দাবি মানেনি সরকার। ডেরেকের অভিযোগ, সরকার জানত ভোটাভুটি হলে এই বিল পাশ হত না। কারণ রাজ্যসভায় তেরো থেকে চোদ্দটি বিরোধী দল এই বিলগুলির বিরুদ্ধে ছিল।’

আরও পড়ুন : বুধবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী

তৃণমূল সাংসদ আরও অভিযোগ করেন, রাজ্যসভায় কী ঘটছে তা চেপে রাখার জন্য রাজ্যসভা টিভি-তে বিরোধীদের বিক্ষোভ সম্প্রচারিত হয়নি। ডেরেকের অভিযোগ, সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে এটি অত্যন্ত দুঃখের একটি দিন।

এ দিন সংসদেও কৃষি বিলের বিরোধিতা করতে গিয়ে ডেরেক বলেন, ‘আমি এমন একটি দলের প্রতিনিধি যার নাম তৃণমূল কংগ্রেস। একটু পিছিয়ে আমরা ২০০৬ সালে চলে যাই। এই দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের স্বার্থে ২৬ দিন অনশন করে নিজের জীবন বিপন্ন করেছিলেন। তিনি কৃষকদের অধিকারের জন্য লড়াই করছিলেন।’

প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে ডেরেক বলেন, ‘গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বিরোধীরা নাকি কৃষকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আমি প্রশ্ন করতে চাই, এই অভিযোগ তোলার মতো কী বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে আপনার? আপনি ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

কিন্তু বর্তমান হারে ২০২৮ সালের আগে তা সম্ভব নয়।’তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, ‘বাংলায় ২০১১ সালে কৃষকদের গড় আয় ছিল ৯০ হাজার। বর্তমানে তা তিন গুণ বেড়ে ২ লক্ষ ৯০ হাজার হয়েছে। সরকার শুধুমাত্র ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক করছে, কিন্তু আমরা রাজ্যের অধিকার, গণবণ্টন ব্যবস্থা, ক্রয় পদ্ধতি নিয়েও আপত্তি জানাচ্ছি।’

সুত্র: News18

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য