সৌমিত্রকে নিয়ে রুদ্রনীলের আফসোস
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় চলে গেলেন, রেখে গেলেন অজস্র কাজ আর স্মৃতির পাহাড়। প্রিয় শিল্পীর বিদায় কেউ-ই মেনে নিতে পারেননি। টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যেমন শোকের ছায়া ভর করেছে, তেমনি তার শেষ বিদায়ে রাজপথে নেমে এসেছিল কলকাতাবাসী।
টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নবীন-প্রবীণ শিল্পীদের পাশাপাশি কলাকুশলীরাও শোকে মূহ্যমান। বাংলা সিনেমার ভার্সেটাইল অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ প্রিয় শিল্পীর প্রয়াণে দারুণ ব্যথিত হয়ে পড়েছেন। যাকে ভালোবাসা যায়, তার অনুপস্থিতি ব্যথার অনুরণ জাগাবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সৌমিত্রের প্রয়াণে একটি বিষয়ে আফসোস রয়ে গেছে রুদ্রনীলের মনে।
‘কালবেলা’খ্যাত এ অভিনেতা বলেন—‘সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অর্থাৎ আমাদের মাস্টার মশাই চলে গেলেন। উনাকে নিয়ে আমার একটি আফসোস রয়েই গেল। ঠিক করেছিলাম উনাকে নিয়ে একটি ওয়েব সিরিজ তৈরি করব। এতে এমন একটি চরিত্র তৈরি করব, যা উনি আগে কখনো করেননি। উনি আমার কথায় রাজি হয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: নক্ষত্রপতনের পাশাপাশি একটা যুগ শেষ হয়ে গেল: ঋতুপর্ণা
এ কাজের বিষয়ে কথা বলতে সৌমিত্রের বাড়ি গিয়েছিলেন রুদ্রনীল। বিষয়টি উল্লেখ করে এই অভিনেতা বলেন—‘ওনার বাড়িতে গিয়েছিলাম। তখন উনি বলেছিলেন, তুই সেপ্টেম্বরে লন্ডন থেকে ঘুরে আয় তারপর চিত্রনাট্য নিয়ে বসব, আর ডিসেম্বরে শুটিং শুরু করব।
সবই ঠিক ছিল, আমিও ফিরে এলাম কিন্তু উনি-ই আর ফিরলেন না। আমাদের সবাইকে ফাঁকি দিয়ে, আর শেখার জন্য অজস্র কাজ রেখে চিরকালের জন্য স্কুল বন্ধ করে চলে গেলেন মাস্টার মশাই।’
দীর্ঘ ৩৯ দিন কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে রোববার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে পরপারে পাড়ি জমান সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তার মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে শেষ হলো একটি অধ্যায়ের। শুধু সিনেমা নয়, সাহিত্য, রাজনীতি, কবিতা সব ক্ষেত্রেই ছিল তার উজ্জ্বল উপস্থিতি।