রাজ্য

তৃণমূলে ফিরতেই মুকুলকে নিজ হাতে যেভাবে আপ্যায়ন করলেন মমতা

তৃণমূলে ফিরতেই মুকুলকে নিজ হাতে যেভাবে আপ্যায়ন করলেন মমতা - West Bengal News 24

এ যেন আক্ষরিক অর্থেই ঘরে ফেরা! গেরুয়া শিবিরের চার দেওয়াল থেকে ঘরোয়া পরিবেশে ফিরলেন মুকুল রায়। পুরনো সতীর্থ ফিরতে তৃণমূল ভবনে জমিয়ে বসল আড্ডা। নামেই রাজনৈতিক পরামর্শ। আদতে শুক্রবার বিকালে তৃণমূল ভবনে ঘটল পুনর্মিলন। শুকনো আড্ডা কোনওকালেই দেয় না বাঙালি। সেই পরম্পরা মেনে মুড়ি মাখলেন খোদ দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি। মুড়ি সহযোগে চলল অতীতের সেই সব দিনের কথা।

মুখ্যমন্ত্রী ঢোকার কিছুক্ষণ পর তৃণমূল ভবনে প্রবেশ করে মুকুল রায়ের গাড়ি। সূত্রের খবর, দীর্ঘ দিন পর নেত্রীকে দেখে প্রণাম করেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক। পায়ে হাত দিয়ে আশীর্বাদ চেয়ে নেন পুত্র শুভ্রাংশু রায়। প্রায় সাড়ে ৩ বছর পর পুনর্মিলনের ছবি তৃণমূল ভবনে।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়,সুব্রত বক্সি, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে খোশমেজাজে গল্প শুরু করেন মমতা। মুকুলের শরীর ভেঙে গিয়েছে বলে উদ্বেগপ্রকাশ করেন। কাঁচড়াপাড়া ছেড়ে সল্টলেকের বাড়িতে সপরিবারে থাকার জন্য মুকুলকে পরামর্শ দেন তৃণমূল নেত্রী। নির্দেশ দেন সকলে মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তবে রাজনীতির থেকে হালকা কথাবার্তাই বেশি হয়েছে। আড্ডায় সঙ্গ দিতে আলুভাজা ও চিপস দিয়ে মুড়ি মাখেন নেত্রী নিজেই।

ঘরিতে যখন ৪টা ৪০ মিনিট, তখন মুকুলকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে হাজির হন তৃণমূল নেত্রী মমতা। সাংবাদিকদের ‘তিক্ত’ প্রশ্ন থেকে ‘দিদি’র মতো আড়াল করেছেন মুকুলকে। নিজেই বলেছেন,“মুকুল পুরনো পরিবারের ছেলে। চমকে-ধমকে এজেন্সি দেখিয়ে মুকুলের উপরে কম অত্যাচার হয়নি! মুকুল নিজেও মানসিক শান্তি পেল। শরীরটা খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। মুখে বলতে পারত না। বিজেপি করা যায় না। বিজেপিতে যারা আছে তাদের শোষণ এত বেশি। এত নির্দয়! মানুষকে মনুষ্যত্ব নিয়ে বাঁচতে দেয় না।”

অন্যদিকে, মুকুল তৃণমূল ভবন ছাড়ার সময়েও সৌজন্যের ছবি। মুকুল রায়কে গাড়িতে তুলে তৃণমূল ভবন ছাড়েন অভিষেক। অভিষেককে মুকুল আগে চলে যেতে বললেও সৌজন্য রক্ষা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

সূত্র: জিনিউজ

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য