অবশেষে বিধানসভায় বিরোধী আসনেই বসলেন মুকুল রায়
অবশেষে বিধানসভায় বিরোধী আসনেই বসেছেন বিজেপির সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেয়া প্রবীণ রাজনীতিবিদ মুকুল রায়।
বিধানসভায় বিরোধী আসনের একেবারে প্রথম সারিতে জায়গা পেয়েছেন মুকুল। তার পাশে রয়েছেন গত বিধানসভায় বিজেপির দলনেতা মনোজ টিগ্গা ও প্রবীণ নেতা মিহির গোস্বামী।
তৃণমূলে যোগ দিলেও বিধানসভায় মুকুল তৃণমূল কংগ্রেসের আসনে বসবেন না বলে আগে থেকেই জল্পনা ছিল। তৃণমূলে ফেরার পরই মুকুলের বিরুদ্ধে দলত্যাগবিরোধী আইন কার্যকর করার দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেন তিনি। এরপরই রণনীতি ঠিক করতে বসে তৃণমূল। ঠিক হয় বিজেপির সঙ্গেই বিধানসভায় বসবেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক।
শুক্রবার নবগঠিত রাজ্য বিধানসভার প্রথম বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গেই বসলেন দলত্যাগী মুকুল রায়। সপ্তাহখানেক আগে প্রকাশ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেও অনুষ্ঠানিকভাবে বিরোধী আসনেই বসলেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, মুকুলের বিরুদ্ধে যাতে দলত্যাগবিরোধী আইন কার্যকর না হয় সেজন্যই এই ব্যবস্থা করেছে তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করা তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিকে বিধায়কপদ থেকে পদত্যাগ না করে তৃণমূলে যোগদান করায় মুকুলকে ইতিমধ্যে আক্রমণ করেছেন একাধিক বিজেপি নেতা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, উনি বড় নেতা। আশা করি শিষ্টাচার মেনে উনি বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করবেন।
তবে মুকুলের পক্ষ থেকে এখনও তেমন কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।
এদিকে বিরোধী দলনেতা ও বিজেপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় কী করে দলত্যাগবিরোধী আইন কার্যকর করতে হয় তা আমি দেখিয়ে দেব।