অবশেষে জট কাটল পাঞ্জাব কংগ্রেসে। কিছুটা হলেও বিবাদ মেটানো গেল দুই মাথার। মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকছেন অমরিন্দর সিংই। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হবে। খবর, নভজ্যোত সিং সিধুকে দেওয়া হচ্ছে রাজ্য কংগ্রেসের দায়িত্ব। ভোটের মুখে দলের সংগঠনে কাজটি তিনিই সামলাবেন। তাহলেই আর বিবাদ বাঁধবে না পাঞ্জাব কংগ্রেসের দুই হেভিওয়েট নেতার।
সূত্র একথাও বলছে, যে অমরিন্দর আর সিধু সমস্যার রফাসূত্র বের করেছেন প্রশান্ত কিশোরই। সপ্তাহের শুরুতে তিনি বৈঠক করেছেন সোনিয়া, রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে। সম্ভবত তখনই এই কৌশল বের করা হয়েছে। এমনিতে পাঞ্জাবে অমরিন্দরের ভোট প্রচারের দায়িত্বেও রয়েছে পিকে–র সংস্থা।
পাঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি এখন সুনীল জাক্কার। তাঁর জায়গাতেই বসতে চলেছেন সিধু। শুধু তিনি একা নন, পাশাপাশি দলের দু’জন ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্টও নিয়োগ করা হবে। এই পদে সম্ভবত বসবেন এক জন হিন্দু এবং এক জন দলিত কংগ্রেস নেতা। দলের সঙ্গে সঙ্গে পাঞ্জাবের মন্ত্রিসভাতেও রদবদল করা হচ্ছে বলে খবর।
চরণজিৎ চান্নি, গুরপ্রীত কাঙ্গারের মন্ত্রিত্ব যেতে পারে। বদলে স্পিকার রানা কে পি সিং, দলিত নেতা রাজ কুমার ভার্কা সেই পদে বসতে পারেন।
ভোটের আগে পাঞ্জাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। সেই কমিটি বারবার সুপারিশ করেছে, মন্ত্রিসভা থেকে সংগঠন, সব জায়গাতেই দলিতদের সামনের সারিতে আনতে হবে। এবার সেই কমিটির সুপারিশ মেনেই রদবদল হতে চলেছে বলে খবর।
সম্প্রতি নভজ্যোত সিং সিধু আর পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর— দু’জনের সঙ্গেই কথা বলেছে গান্ধী পরিবার। সিধুর সঙ্গে চার ঘণ্টা বৈঠক করেন প্রিয়াঙ্কা নিজে। এর পর কথা বলেন রাহুলও। আর দিল্লি এসে সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করেন অমরিন্দর। এত কিছুর পরেও সুরাহা বের হয়নি বলেই খবর।
যদিও অমরিন্দর সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করার পর জানিয়েছিলেন, ‘আমি সিধু সাহাবের বিষয়টি জানি না। কংগ্রেস সভাপতি যা ঠিক করবেন, আমরা মেনে নেব।’
সিধুর সঙ্গে সম্পর্কের বরফ যে গলেনি, ক্যাপ্টেনের কথাতেই স্পষ্ট। এদিক হাইকমান্ড হারে হারে জানে, সিধু অসন্তোষ মেটানো না হলে তিনি ভোটের আগে কেজরিওয়ালের আপে যোগ দেবেন। সেক্ষেত্রে ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে চাপে পড়বে কংগ্রেস।
২০১৭ সালে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন সিধু। পাঞ্জাব নির্বাচনের ঠিক আগে। সিধু তখন বিজেপি–র রাজ্যসভার সাংসদ। সেই সাংসদ পদও ছেড়ে দেন। রাজ্যের মন্ত্রী হন। যদিও তাঁকে কোণঠাসা করা হচ্ছে অভিযোগ তুলে ২ বছর পরেই মন্ত্রিত্ব ছাড়েন। সেই থেকে বারবার অমরিন্দরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন।
সূত্র : আজকাল