বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদে খুন? হাওড়ায় কিশোরের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য
আর পাঁচটা দিনের মতোই শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি ছেড়ে বেড়িয়েছিল বছর ১৮’র উঠতি যুবক মহম্মদ রেইসাজাম। কিন্তু অনেক রাত হয়ে যাওয়ার পরেও বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়ে যান বাড়ির লোকেরা। মোবাইলে যোগাযোগ করতে গিয়েও সুবিধা করতে পারেননি তাঁরা। কেননা রেইসাজামের ফোন বন্ধ ছিল। তারপরেই শুরু হয়ে খোঁজাখুঁজির পালা। কিন্তু কোথাও তাঁর কোনও সন্ধান মেলেনি। শেষে শুক্রবার মধ্যরাতে বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে মিলল তাঁর নিথর দেহ।
গলায় তখনও প্যাঁচানো লোহার তার। আর শরীরজুড়ে আঘাতের অজস্র চিহ্ন। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, বেধড়ক মারধরের পরে গলায় লোহার তার পেঁচিয়ে তাঁর মৃত্যু সুনিশ্চিত করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে হাওড়া শহরের শিবপুর এলাকায়। ওই যুবকের বাড়ি কাজিপাড়া এলাকায়। কিন্তু তাঁর রক্তাক্ত দেহ মিলেছে বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে শিবপুরেরই বিপ্রদাস চ্যাটার্জি লেনে।
আরো পড়ুন : আরও ৭ দিন কলেজে ভর্তির আবেদনে বাড়ল সময়সীমা
ঘটনার তদন্তে নেমে শিবপুর থানার পুলিশ রেইসাজামের চারজন বন্ধুকে আটক করেছে রাতেই। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, নেশা করার ঘটনা থেকে বিবাদ, আর তার জেরেই খুন করা হয়েছে মহম্মদ রেইসাজাম নামের ওই উঠতি যুবককে। তবে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে রেইসাজামের বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, কোনওদিনই কোনও নেশা করতো না রেইসাজাম।
সম্ভবত টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে পরিকল্পনামাফিক এই খুনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কেননা পুলিশ রেইসাজামের যে ৪জন বন্ধুকে আটক করেছে তাঁরা প্রায়শই রেইসাজামের কাছ থেকে টাকা চাইতো। ধারের পরিমাণ ৩০ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তার জন্ত বাড়িতে বকুনির মুখেও পড়তে হয়েছিল রেইসাজামকে। সম্ভবত সেই টাকা ফেরত চাওয়ার কারনেই ওই চার যুবক নৃশংস ভাবে খুন করেছে এই যুবককে। অন্তত এমনটাই দাবি করেছে রেইসাজামের পরিবার।
সূত্র : এই মুহুর্তে