মঙ্গলবার বিকাশ ভবনের সামনে শিক্ষিকাদের আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনাকে ঘিরে উত্তাল হয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। আপাতত সেই পাঁচ শিক্ষিকা এনআরএস ও আরজিকরে ভর্তি আছেন। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা সংকটজনক। পুলিশের তরফে এই পাঁচ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
রাজ্যের বিরোধী পক্ষের রাজনীতিবিদরা রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করছেন। এদিকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী আন্দোলনকারীদের ‘বিজেপির ক্যাডার’ হিসেবে সম্বোধন করেছেন। বুধবার বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু এনআরএসে অসুস্থ আন্দোলনকারীদের দেখতে যান। বেরোনোর পর সাংবাদিকদের কাছে এই ঘটনা নিয়ে তাঁর নিজস্ব মতামত জানিয়েছেন।
আন্দোলনকারীদের শারীরিক অবস্থা:
“আমি ওঁদের খোঁজখবর নিতে এসেছিলাম। তবে ৭২ ঘন্টার আগে কিছু জানানো যাবে না বলে চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন। এমনি জানা গেছে তাঁরা স্টেবেল আছেন। চিকিত্সার কোনো ত্রুটি হবে না।”
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু প্রসঙ্গে:
“ব্রাত্যবাবুর ত্রিপুরা যাওয়ার সময় আছে, সাংবাদিক সম্মেলনের সময় আছে, বিজেপি নেতা-কর্মী-কার্যকর্তাদের গালাগালি করার সময় আছে শুধু যারা সমাজের মেরুদন্ড সেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে দেখা করার সময় নেই। এর থেকে দুর্ভাগ্য বোধহয় বাংলায় কখনও হয়নি। শিক্ষামন্ত্রী আগে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে দেখা করে কথা বলুন। তাঁরা যদি আত্মহত্যা করেন তবে সমাজকে আত্মহত্যা করতে হবে। শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। ভারতের কোথাও এই ঘটনা ঘটে না।”
বিষ খাওয়া কি সমর্থনযোগ্য?
“আমি এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন করি না। নিজের জীবন নিয়ে তো আন্দোলন হতে পারে না। মানবতার সঙ্গে বিষয়টি দেখুন আলোচনা করুন।”
উল্লেখ্য, এই ঘটনা নিয়ে আজ অর্জুন সিং বলেছেন, “মানুষ এই সরকারের প্রতি এতটাই রেগে গেছে যে নিজের জীবন দিয়ে দিচ্ছে। মন্ত্রী কথা বলছে না, অসুবিধা শুনছে না, উপেক্ষা করছে, তাই মহিলারা আজ বিষ খেয়েছেন। এই সরকার শুধু ভাতা আর ভাওতা সরকার। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই। বাংলার মা-বোনরা কী শুধু ভিক্ষা নেওয়ার জন্য আছে?”
সূত্র: প্রথম কলকাতা