সব কিছু ঠিক থাকলে কাল, রবিবার তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন সোমেন-জায়া শিখা মিত্র। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতারা একটি হোটেলে সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁকে তৃণমূলে যোগদান করানো হতে পারে।
২০০৮ সালে সোমেন মিত্র কংগ্রেস ছেড়ে প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস গঠন করেন। স্বামীর সঙ্গেই দল ছাড়েন শিখা। ২০০৯ সালে তৃণমূলের প্রতীকে ডায়মন্ড হারবার থেকে সাংসদ হন সোমেন। ওই বছর শিখাকে সোমেন মিত্রর কেন্দ্র শিয়ালহে শিখা মিত্রকে প্রার্থী করেন মমতা। নির্বাচনে জয়লাভ করেন। ২০১১ সালে চৌরঙ্গি কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয়বারের জন্য বিধায়ক হন তিনি।
যদিও এই মধুর সম্পর্ক খুব বেশিদিন স্থায়ী ছিল না। ২০১৩ সালে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বিধান রায়ের জন্মদিনে বিধান ভবনে বিস্ফোরক মন্তব্য় করেন শিখা। প্রকাশ্যেই তৃণমূল নেত্রীর সমালোচনায় সরব হন। এই ঘটনার ঠিক এক বছরের মাথায় ঘাসফুলের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করেন। চৌরঙ্গির বিধায়ক পদে ইস্তফাও দেন।
আরো পড়ুন : ‘দিদির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আশায় বসে রয়েছেন উনি’- ঘাটাল ইস্যুতে দেবকে খোঁচা দিলীপের
ছবিটা বদলাতে শুরু করে সোমেন মিত্রের প্রয়াণের পর। গত ১৭ অগস্ট তাঁর বাত্সরিক কাজের দিন শিখা মিত্রের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো স্বয়ং। পরের দিন শিখা মিত্রের বাড়িতে যান দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়। সূত্রের খবর, সেইদিন তৃণমূলে যোগদানের ব্য়াপারে সম্মতি জানান শিখা। জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের বঙ্গ জননীর সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন সোমেন জায়া। তৃণমূল ছাড়ার পর শিখামিত্র অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে যোগদান করেননি।
সূত্র : এই মুহুর্তে