মন্ত্রীর এনকাউন্টার হুমকির দু’দিন পরেই হায়দরাবাদে ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্তের দেহ উদ্ধার
গত বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদে একটি ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যা করে প্রতিবেশী এক যুবক। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। এমনকি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বুধবার তেলেঙ্গানার শ্রমমন্ত্রী মাল্লা রেড্ডিকে বলতে শোনা যায়, ‘অভিযুক্ত ধরা পড়লেই তাকে এনকাউন্টার করে মারা হবে। এই মন্তব্যে পর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। বৃহস্পতিবার সকালে রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার হল ধর্ষণ কাণ্ডের মূল অপরাধীর মৃতদেহ।
পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে তেলেঙ্গানার ওয়ারাঙ্গালের রেল লাইনে একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তাঁরা মৃতদেহের হাতে থাকা ট্যাটু দেখে চিনতে পারে যে সেই এক সপ্তাহ আগে হওয়া সাইদাবাদ ধর্ষণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত।
#AttentionPlease : The accused of “Child Sexual Molestation and murder @ Singareni Colony, found dead on the railway track, in the limits of #StationGhanpurPoliceStation.
Declared after the verification of identification marks on deceased body. pic.twitter.com/qCPLG9dCCE— DGP TELANGANA POLICE (@TelanganaDGP) September 16, 2021
এই প্রসঙ্গে হায়দরাবাদের পুলিশ সুপার অঞ্জিনি কুমার জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া মৃতদেহের সঙ্গে ওই সাইদাবাদ ধর্ষণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্তের অনেক মিল ছিল। কিন্তু তারপরেও মৃতদেহের কিছু পরীক্ষা করা হয় এবং তখনই আমরা নিশ্চিত হই। এরপরই তেলেঙ্গানা পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশ্যে আনেন।
আরও পড়ুন : কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন কানহাইয়া কুমার? রাহুল-সাক্ষাতে জল্পনা
উল্লেখ্য গত ৯ সেপ্টেম্বর ৬ বছরের একটি শিশু কন্যার দেহ উদ্ধার হয় তেলেঙ্গানার সাইদাবাদ থেকে। প্রতিবেশী এক যুবকই প্রথমে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে তারপর হত্যা করেছে বলে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়। কিন্তু এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল ওই যুবক। কোনভাবেই পুলিশের নাগালে আসছিল না সে। এমনকি পুলিশ ওই অভিযুক্তের মাথার দাম পর্যন্ত ধার্য করে। হায়দরাবাদ পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয় কেউ যদি ওই অভিযুক্তের কোনও সন্ধান দিতে পারে তাহলে তাঁকে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গ বুধবার তেলেঙ্গানা শ্রম মন্ত্রী মহিলা মাল্লা রেড্ডি বলেন যে, ওই অপরাধীকে খুঁজে পাওয়া গেলে তাঁকে গুলি করে মারা হবে। তার এই মন্তব্যের পর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি, এরমধ্যেই উদ্ধার হল মূল অভিযুক্তের মৃতদেহ। কিভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হল এবং তাতে পুলিশের কোনও ভূমিকা আছে কিনা এইসব নিয়ে ইতিমধ্যেই মাথাচারা দিচ্ছে একাধিক প্রশ্ন।
সূত্র: এই মুহুর্তে