মুখ্যমন্ত্রীর সফরে আগেই সকাল থেকে বন্যা বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে তৃণমূলের নেতারা, ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ সাধারণ মানুষের
শনিবার বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা (flood affected areas) পরিদর্শনে যাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) । তবে তার আগেই এদিন সকালে বিভিন্ন জায়গায় বন্যা বিধ্সস্ত মানুষের ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এদিকে ডিভিসি আস্তে আস্তে জল ছাড়ার পরিমাণ কমাচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আরামবাগে হেলিপ্যাড তৈরি
এদিন পৌনে বারোটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে হেলিকল্পারে রওনা দেবেন বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনের জন্য। তাঁর জন্য আরামবাগে হেলিপ্যাড তৈরি রাখা হয়েছে। আগে মুখ্যমন্ত্রীর বাঁকুড়ায় জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করার কথা থাকলেও পরে তা বাতিল করা হয়।
জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী আকাশপথেই বাঁকুড়ার বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী এবাররের বন্যাকে ম্যান মেড বন্যা বলে অভিযোগ করে ডিভিসি ও কেন্দ্রকে দায়ী করেছেন। পাল্টা ডিভিসির তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর সফরে আগেই সকাল থেকে এলাকায় তৃণমূলের নেতারা
ইতিমধ্যেই ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, হুগলির আরামবাগ, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান এবং পশ্চি মেদিনীপুরের ঘাটালের মতো এলাকা। মুখ্যসচিবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরামবাগের দুটি জায়গায়, খানাকুল ১ ও ২ নম্বর ব্লকের বেশ কিছুটা অংশ, বাঁকুড়ার বড়জোড়া, বীরভূমের নানু এবং পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম বিপর্যস্ত।
বিপর্যস্ত বাঁকুড়ার বেশ কিছুটা অংশ। মুখ্যমন্ত্রী এইসব এলাকা আকাশপথে পরিদর্শন করতে পারেন,. কোথাও বা তিনি রাস্তাতেও নামতে পারেন। সেই পরিস্থিতি বিবেচনা করে এদিন সকাল থেকেই এলাকায় যেতে শুরু করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।
ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ
বিভিন্ন এলাকায় জল জমতে কিংবা ঢুকতে শুরু করেছে বৃহস্পতিবার থেকে। তারপর থেকে বহু মানুষ ঘরছাড়া। নবান্নের হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ২২ লক্ষ। ৪ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে। ত্রাণশিবিরে রয়েছেন প্রায় দেড়লক্ষ মানুষ। দুর্গতদের মধ্যে ত্রিপল ছাড়াও ত্রাণ বিলি করা হয়েছে।
উদ্ধার কাজে সেনা নামানো হয়েছে। এসডিআরএফ-এর ২৪ টি টিম এবং ২০০ টি নৌকা কাজ করছে। অনেক মানুষ বাঁধের ওপরে আশ্রয় নিয়েছেন। সাধারণ মানুষের অভিযোগ শুক্রবার যে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। আরও ত্রাণ বিলির দাবি করেছেন তাঁরা।
মাঠে থাকা ফসল নষ্ট, সাহায্যের অপেক্ষা কৃষকরা
হুগলি, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার জমির ফসল চলে গিয়েছে জলের তলায়। কৃষকরা বলছেন, দিন ১০-১২ পরে যে ফসল ঘরে উঠতো তা এখন জলের তলায়। সেখান থেকে কিছুই পাওয়া যাবে না। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা সরকারের সাহায্যের অপেক্ষায় বলে জানিয়েছেন।
সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া