জীবন যাত্রা

বিয়ের আগে যে ৭টি মেডিকেল টেস্ট করাতে ভুলবেন না, জেনেনিন বিস্তারিত

বিয়ের আগে যে ৭টি মেডিকেল টেস্ট করাতে ভুলবেন না, জেনেনিন বিস্তারিত - West Bengal News 24

বিয়ে মানে শুধু সামাজিক স্বীকৃতিই নয়, বিয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দুটি মানুষের নতুন জীবনের দীর্ঘ পথ চলা। এ পথচলাকে সুগম করতে বিয়ের আগ থেকেই শুরু হয় নানা আয়োজন- পাত্র-পাত্রী দেখা, একজন আরেকজনকে পছন্দ করা, এক পরিবার আরেক পরিবারকে পছন্দ করাসহ আরো কত কী! এত কিছুর পরও এ পথচলা কি সবার ক্ষেত্রে সব সময় সুগম হয়?

আজকের এই আধুনিক যুগে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। সেজন্য হবু বর ও বধূর কিছু পরীক্ষা আগে থেকে করে নেয়া উচিত। এতে বিবাহিত দম্পতির ভবিষ্যত সুখকর হওয়ার পাশাপাশি সন্তানের ভবিষ্যতও থাকবে সুরক্ষিত। তাই বিয়ে করার আগে এই সাতটি মেডিকেল পরীক্ষা অবশ্যই করাতে হবে।

এইচআইভি পরীক্ষা
মরণব্যাধি এইডস জন্য দায়ী হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস (এইচআইভি)। ভাইরাসটি শরীরে সংক্রমিত হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। এইচআইভি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে। একবার লক্ষণ দেখা দেয়া শুরু করলে ধুকে ধুকে মৃত্যুর দিকে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। তাই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিশ্চিত করতে হবে যে সঙ্গীর কেউই এইচআইভি পজিটিভ নন।

ডিম্বাশয় পরীক্ষা
বিয়ের আগে মহিলাদের ডিম্বাশয় পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরী। যে মহিলারা একটু দেরিতে বিয়ে করেন তাদের বিয়ের আগে ডিম্বাশয় পরীক্ষা অবশ্যই করা উচিত্‍। মহিলারা ত্রিশের কোঠায় পৌঁছালে তাদের ডিম্বাণুতে কোষের উত্‍পাদন হ্রাস পায় যা পরিবার পরিকল্পনাকে একটি হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারে। তবে উভয়পক্ষ যদি জৈবিক সন্তান না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তবে এ পরীক্ষাটি করা বাঞ্ছনীয় নয়।

বন্ধ্যাত্ব পরীক্ষা
বন্ধ্যাত্ব কেবল নারীদের নয়, পুরুষদেরও হতে পারে। তাই পাত্র, পাত্রী উভয়েরই বিয়ের আগে বন্ধ্যাত্ব পরীক্ষা করা উচিত। পুরুষদের মধ্যে এটি শুক্রাণুর স্বাস্থ্য এবং শুক্রাণুর সংখ্যা পরীক্ষা করতে সহায়তা করে। নারীরা গর্ভধারণে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হবে কি না সেটাও এই পরীক্ষায় স্পষ্ট হবে।

জেনেটিক টেস্ট
অনেক রোগ আছে যেগুলো বংশানুক্রমিকভাবে ছড়ায়। তাই বিয়ের আগে পাত্র, পাত্রী দু’জনকেই জেনেটিক পরীক্ষা করতে হবে। যাতে বোঝা যায় কোনও বংশানুক্রমিক রোগ তাদের মধ্যে আছে কি না।

আরও পড়ুন: বিচ্ছেদের পরও প্রাক্তনের সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’ রাখতে চাইলে যা যা খেয়াল রাখবেন

এসটিডি পরীক্ষা
সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ বা এসটিডি হলো যৌনবাহিত রোগ। বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অবশ্যই এসটিডি বা যৌনবাহিত রোগের পরীক্ষা করা উচিত্‍। যদি দু’জনের মধ্যে একজনেরও এই রোগ থাকে তাহলে অপরজনও সংক্রমিত হতে পারেন।

রক্তের গ্রুপের তুলনামূলক পরীক্ষা
রক্তের গ্রুপে সমতা না থাকলে দম্পতিদের গর্ভাবস্থায় অসুবিধা হতে পারে। এটি নিশ্চিত করা উচিত যে উভয়েরই আরএইচ উপাদান একই আছে বা একই সমতায় আছে।

রক্তের ব্যাধি পরীক্ষা
পাত্র ও পাত্রীর রক্তের পরীক্ষা করা উচিত দেখার জন্য যে রক্তে হিমোফিলিয়া বা থ্যালাসেমিয়ার জীবাণু আছে কি না। এটা না হলে ভবিষ্যতে তাদের সন্তানও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য