ফুটবল

পদ ছাড়তে নারাজ চুমুকাণ্ডে বিতর্কিত রুবিয়ালস

Luis Rubiales : পদ ছাড়তে নারাজ চুমুকাণ্ডে বিতর্কিত রুবিয়ালস - West Bengal News 24

স্পেনের মেয়েদের বিশ্বকাপ জেতার পর দলটির ফুটবলার জেনি হার্মোসোকে চুমু দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা স্পেনের ফুটবল প্রধান লুইস রুবিয়ালেস পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। আজ রোববার বিবিসির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে খবরটি জানা যায়।

রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের ডাকা অ্যাসেম্বলিতে রুবিয়ালেস জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করব না, আমি পদত্যাগ করব না। এখানে একটি সামাজিক ট্রায়াল হয়েছে।’

এদিকে বৃহস্পতিবার রুবিয়ালসের বিপক্ষে শাস্তিমূলক কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা ফিফা।

গত রোববার স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ের পর দলের ফুটবলার জেনি হার্মোসোর মাথায় দুহাত রেখে চুমু দিয়ে বসেন স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লুইস রুবিয়ালস। চুমুকাণ্ডের পরপরই ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়ে হার্মোসো বলেছিলেন, ‘আমি সেটি পছন্দ করিনি।’ যদিও পরে দেওয়া এক বিবৃতিতে রুবিয়ালসের পক্ষে সাফাই গান। স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের দেওয়া এক বিবৃতিতে হার্মোসো দাবি করছিলেন, বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলেন। স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি যা করেছেন, তা নেহাতই স্নেহ এবং কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ।

রুবিয়ালস বলেছিলেন, ‘কোনো কিছু উদযাপন করতে দুই বন্ধুর মধ্যে চুমুর মতো’ ছিল ওটা। যারা এটি ভিন্নভাবে নিচ্ছে তাদেরকে ‘নির্বোধ ও ইতর লোক’ বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি।

এরপর জল অনেকদূর গড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন স্পেনের সমতা বিষয়ক মন্ত্রী ও ক্রীড়ামন্ত্রী। দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেস বলেছেন, ‘ক্ষমা চাওয়াই এক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়।’ গত সোমবার ক্ষমা চান রুবিয়ালস। তিনি বলেন, ‘আমি স্বীকার করছি আমি সম্পূর্ণ অন্যায় করেছি। (বিশ্বকাপ জয়ের) উত্তেজনার কারণে হয়েছে, সেখানে কোনো বাজে উদ্দেশ্য ছিল না। সে সময় এটিকে আমরা স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছিলাম কিন্তু বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। আমি ক্ষমা চাইছি, শিক্ষা নিয়েছি এবং বুঝেছি যে আপনি একজন প্রেসিডেন্ট, আপনাকে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে।’

বিষয়টি নিয়ে পরে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিলেন হার্মোসো। পেশাদার নারী ফুটবলারদের সংগঠন ফুটপ্রো ইউনিয়ন ও নিজের এজেন্সির মাধ্যমে যৌথ বিবৃতিতে নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করেন হার্মোসো।

তিনি বলেছেন, ‘এই ধরনের ঘটনায় যেন কেউ কখনোই শাস্তি না পেয়ে পার পায় এবং এই ধরনের অগ্রহণযোগ্য আচরণ থেকে নারী ফুটবলারদের রক্ষা করতে তাদের শাস্তি দেওয়া হয় ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

আরও পড়ুন ::

Back to top button