ঝাড়গ্রাম

ঝাড়গ্রামে নেতাজির শেষ প্রত্যক্ষদর্শীর জীবনাবসান

স্বপ্নীল মজুমদার

ঝাড়গ্রামে নেতাজির শেষ প্রত্যক্ষদর্শীর জীবনাবসান - West Bengal News 24

ঝাড়গ্রাম: চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে তারিফ করেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু! ১৯৪০ সালের ১২ মে বিকেলে ঝাড়গ্রামের দুর্গা ময়দান এলাকার বাড়িতে সেই চা বানিয়েছিলেন কমলা চক্রবর্তী।

নীরবে চলে গেলেন ঝাড়গ্রামে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে কাছ থেকে দেখা কমলাদেবী। বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। তিনিই ছিলেন ঝাড়গ্রামে সুভাষচন্দ্রের শেষ প্রত্যক্ষদর্শী।

গত বুধবার গভীর রাতে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ১৯৪০ সালের ১২ মে নাড়াজোলের কুমার দেবেন্দ্রলাল খানের ব্যবস্থাপনায় ঝাড়গ্রামে জনসভা করেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। তখনও তিনি ‘নেতাজি’ হননি।

ওই সময়ে সুভাষচন্দ্রের সঙ্গে কংগ্রেসের মতবিরোধ চলছিল। ওইদিন ঝাড়গ্রামের দুর্গা ময়দানে সভার পরে বিকেলে মাঠের লাগোয়া তৎকালীন পঞ্চায়েত বোর্ডের সভাপতি শম্ভুনাথ চক্রবর্তীর আমন্ত্রণে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র। শম্ভুনাথবাবুর মেজভাই ভোলানাথ চক্রবর্তীর স্ত্রী কমলাদেবীর তখন বয়স মাত্র পনেরো।

সদ্য নববধূ কমলা নিজের হাতে চা বানিয়ে খাইয়েছিলেন সুভাষচন্দ্রকে। সেই চা খেয়ে তারিফ করেছিলেন সুভাষচন্দ্র। কমলাদেবীর ছোট দেওরের ছেলে ঝাড়গ্রামের বিশিষ্ট আইনজীবী সোমনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মেজ জেঠিমা সুভাষচন্দ্রকে চা খাওয়ানোর স্মৃতিচারণ করতেন।

তবে তিনি এসব নিয়ে প্রচার পছন্দ করতেন না। গত বছর ঝাড়গ্রাম রাজ মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুশীলকুমার বর্মন আমাদের বাড়িতে এসে মেজ জেঠিমাকে সম্মান জানিয়েছিলেন।’’

আরও পড়ুন ::

Back to top button