রবিবার ইলিশ-চিংড়ির লড়াই, ১৯ বছর পর ডুরান্ড ফাইনালে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
সেমিফাইনালে এফসি গোয়াকে ২-১ গোলে হারাল মোহনবাগান। প্রথমে এক গোলে পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত কামব্যাক করে সবুজ মেরুন শিবির। মোহনবাগানের হয়ে পেনাল্টিতে গোল করেন কামিংস। এদিন যদিও রেফারির পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট গোয়া শিবির। প্রথমার্ধে খেলার ফল ১-১ থাকার পর ৬১ মিনিটে বাগানের হয়ে দুরন্ত গোল করেন সাদিকু।
রবিবার ইলিশ-চিংড়ির লড়াই। ডুরান্ড ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান লড়াই আবার। ১৯ বছর পর ডুরান্ড ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান। এদিন শুরুতে এক গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে নেয় মোহনবাগান। প্রথমার্ধে ম্যাচের ফল ছিল ১-১। মোহনবাগানের এই জয় মানে রবিবার আবার ডার্বি।
ইতিহাস বলছে , ২০০৪-এ শেষবার ডুরান্ড কাপের ফাইনালে পৌঁছেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই ম্যাচে মোহনবাগানকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্য়াম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে এরপরে অবশ্য মোহনবাগান আরও একবার ডুরান্ড ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল। তবে ২০১৯-এ শেষবার ডুরান্ড ফাইনালে পৌঁছে গোকুলামের কাছে হারতে হয়েছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে। এবার যন ২০০৪ সালের বদলা ও সঙ্গে চলতি ডুরান্ড কাপের গ্রুপ লিগের ম্যাচের হারের বদলা নিতে তৈরি জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা।
ডুরান্ড কাপে একই গ্রুপে পড়েছিল কলকাতার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। দীর্ঘ সাড়ে চার বছরের খরা কাটিয়ে ডার্বি জিতেছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাতের শিষ্যরা। তারপর থেকেই ফুটবলপ্রেমীদের মনে সুপ্ত বাসনা, আরও একবার হয়ে যাক। এই ডুরান্ড কাপেই আরও একবার দেখে নেওয়া যাক কে বড়? পালতোলা নৌকা নাকি মশাল ব্রিগেড? ভক্তদের মনের ইচ্ছা মতোই ডুরান্ড ফাইনালে স্বপ্নের লাইন আপ।
দুই দলের পাগল সমর্থকদের আরও একবার একে অপরকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার পালা। প্রিয় দলের জার্সি গায়ে আরও একবার গলা ফাটানোর সুযোগ। মাঠের লড়াইয়ের পাশাপাশি সমানতালে সমর্থকদের মধ্যেও সেয়ানে সেয়ানে টক্কর। কারণ দুই দলের কেউই তো শেষ বাঁশি বাজার আগে হার মানতে জানে না।