জাতীয়

আরও এক ধাপ অগ্রগতি, সেবক-রংপো রেল প্রকল্প – রেলপথে জুড়ছে বাংলা ও সিকিম

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

আরও এক ধাপ অগ্রগতি, সেবক-রংপো রেল প্রকল্প – রেলপথে জুড়ছে বাংলা ও সিকিম

আরও এক ধাপ অগ্রগতি, সেবক-রংপো রেল প্রকল্প – রেলপথে জুড়ছে বাংলা ও সিকিম। । সেবক-রংপো নতুন রেল সংযোগী প্রকল্পটি প্রায় ৪৫ কিমি লম্বা , যা পশ্চিমবঙ্গের সেবক ও সিকিমের রংপোকে সংযুক্ত করবে। টানেল নির্মাণের ৮৮ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে। ১৪টি টানেল, ১৭টি ব্রিজ ও ৫টি স্টেশন অন্তর্ভুক্ত – দীর্ঘতম টানেলটি (টি-১০) ৫.৩ কিমি এবং দীর্ঘতম ব্রিজটি ৪২৫ মিটার লম্বা।

পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার করোনেশন ব্রিজের নিকটে অবস্থিত ৮৫৫ মিটার লম্বা ইভাকুয়েশন টানেলের পাশাপাশি মূল টানেলটির দৈর্ঘ্য ৪২২৪ মিটার। মাটির ভারের দুর্বলতা প্রতিরোধ করতে, সর্বশেষ ও সবচেয়ে আধুনিক টানেলিং টেকনোলজি তথা নিউ অস্ট্রিয়ান টানেলিং মেথড অথবা এনএটিএম ব্যবহার করা হয়েছে। সেভক থেকে রংপো। পাহাড়ের ভিতর দিয়ে গুহাপথে একাধিক টানেল পেরিয়ে দৌড়বে ট্রেন। প্রথম পর্যায় শেষে রংপো থেকে নাথুলা পৌঁছবে ট্রেনটি। সীমান্তে যাবে রসদ ও সেনাও।

প্রজেক্ট ডিরেক্টরের দাবি, নির্ধারিত ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হয়ে যেতে পারে। সবচেয়ে বাধা ছিল টানেল ওয়ান নির্মাণ। এলাকার মাটির সমস্যায় ভুগতে হচ্ছিল। কিন্তু সমস্যা অতিক্রম করে এখন সমস্ত টানেলেই কাজ এগোচ্ছে দ্রুত গতিতে। ফলে গুহাপথে বাংলা-সিকিমের রেল যোগাযোগে এই প্রকল্প চালু হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। শ্রমিক ও যাত্রী নিরাপত্তায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এডিট সিস্টেম। মূল টানেলের ভিতর থেকে আরও ছোট ছোট কিছু সুড়ঙ্গ পথ খোঁড়া হয় (মূলত শ্রমিকরা বিপদে পড়লে যাতে উলটো দিক দিয়ে বের হতে পারেন) সেই পথকেই ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভাষায় বলা হয় এডিট। আগামী দিনে রেল চলাচল শুরুর যদি দুর্ঘটনা ঘটেও, এই পথেই গুহার ভিতর ঢুকবে অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারকারী দল।

এই টানেলের সাফল্যের ফলে এই প্রকল্পের সমস্ত অ্যাডিট টানেল খননের কার্যকলাপ সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। টানেল টি-০২, টি-০৫, টি-০৬ সহ টি-০৯, টি-১০, টি-১১ ও টি-১২-এর কাজ অগ্রগতি লাভ করেছে। বর্তমানে টানেল টি-১৪ -এ ফাইনাল লাইনিং সম্পূর্ণ হয়েছে। সমগ্র প্রকল্পটির প্রায় ৩৮ কিমি বিন্যাস টানেলের মাধ্যমে অতিক্রম হয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত মোট ৭.৪৯ কিমি লাইনিং সম্পূর্ণ হয়েছে। সবগুলি বিভাগের কাজ দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা চালানো হচ্ছে।

শুধু পর্যটক নয়, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এই প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীনা সীমান্তে নাথুলা অবধি এভাবেই ধাপে ধাপে রেলপথ নির্মাণ করে শজে সেনা জওয়ান ও রসদ পৌঁছবে সীমান্তে। ফলে সকলের নজর এই প্রকল্পে। সাফল্যের সঙ্গে এই প্রকল্পের কাজ এগানোর ক্ষেত্রে বাধা হটিয়ে কাজ এগিয়ে চলায় উৎসাহিত রেলকর্তারাও।

আরও পড়ুন ::

Back to top button